সাবধান! যে ৫টি অভ্যাসে আপনি আপনার চোখের ক্ষতি করছেন, জেনেনিন

আমাদের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার চোখ। দু’চোখ মেলে আমরা পৃথিবীর নানা রঙের আস্বাদ গ্রহণ করি। বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করি। নয়ন ভরে যায় পৃথিবীর সব বৈচিত্র্য দেখে।

তবে বর্তমান জীবনযাপনের মধ্যে আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছি। এই জীবনযাত্রায় এমন কিছু ভুলত্রুটি রয়েছে যা আমাদের রোজ ক্ষতি করে দিচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে চোখও।

কোভিড ১৯ আমাদের জীবনে এনেছে নতুন সব অভিজ্ঞতা। এই বিশেষ সময়টায় গোটা দেশ জুড়ে চলে লকডাউন। সব হয়ে যায় স্তব্ধ! তবে কাজ বন্ধ রাখলে চলবে কি করে! তাই বাড়ি বসে কম্পিউটারে মুখ গুঁজে শুরু হয়ে গেল কাজ। এভাবে কাজ করার সুবাদেই চোখের ১২টা বাজতে শুরু করল। তবে শুধু ডিজিটালাইজেশনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এছাড়াও হাজার সমস্যা মানুষের মধ্যে রয়েছে। আসুন সেই সকল সমস্যাগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

খাদ্যাভ্যাসে ভুলভ্রান্তি
দৃষ্টি ভালো রাখতে চাইলে খাদ্যাভ্যাস রাখতে হবে দারুণ। কারণ খাবারের মধ্যে এমন কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে যা চোখ ভালো রাখে। তবে আমরা সেসবের তোয়াক্কা করি না। খাবার খাওয়ায় থাকে না কোনও মাপ। বাইরের আজেবাজে খেয়ে বাঁচি। যদিও বিজ্ঞান বলছে, চোখ ভালো রাখতে চাইলে ভিটামিন সি, জিঙ্ক, লুটেন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিয়েক্সানথিন থাকা খাবার বেশি করে খেতে হবে। এক্ষেত্রে মওশুমি ফল, শাক, সবজি বেশি করে খেতে হবে। তবেই চোখ থাকবে ভালো।

প্রোটেকটিভ চশমা না পরা
বাইরে রয়েছে দূষণ, আর বাড়িতে রয়েছে কম্পিউটার। এই দুই কারণে চোখের ১২টা বাজে। সেক্ষেত্রে আপনার চোখে পরতে হবে প্রোটেকটিভ চশমা। এই ধরনের চশমা চোখে চাপ কম ফেলে।

চোখ রগড়ানো
আমাদের মধ্যে বহু মানুষ প্রায়ই চোখ রগড়ান। যদিও এভাবে চোখ রগড়ালে আদতে চোখেরই ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে দেখা দেবে সমস্যা। এমনকী লাগতে পারে চোখের অন্দরে আঘাত। তাই চোখ রগড়ানোর অভ্যাস আজই ছাড়ুন।

চোখকে বিশ্রাম না দেওয়া
চোখের দরকার বিশ্রাম। কারণ এগনাগাড়ে কম্পিটউটার, মোবাইল, টিভির দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে পড়ে চাপ। হতে পারে চোখে ব্যথা, জ্বালা, ড্রাই আই ইত্যাদি সমস্যা। তাই এভাবে একনাগাড়ে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। বরং একটু চোখের জন্য সময় বের করুন। চোখ বন্ধ রাখুন।

নিয়মিত আই চেকআপ না করা
সমস্যা থাক না থাক আমাদের প্রত্যেকেরই বছরে অন্তত একবার চক্ষু পরীক্ষা করা দরকার। কারণ চোখের অনেক সমস্যা আমরা হয়তো প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারি না। কিন্তু পরীক্ষা করলে সেই সমস্যা ধরা পড়ে এবং সমস্যার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। তাই বছরে ১ বার চোখের টেস্ট মাস্ট।

News Desk

Recent Posts

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে যেভাবে সাহায্য করে মৌরি

সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…

2 hours ago

এনার্জি পেতে চা-কফির পরিবর্তে অভ্যাস করুন ৬ জিনিসের

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…

3 hours ago

গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ও প্রতিরোধে কী করবেন?

শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ঘরেই দিন-রাতে চলছে ফ্যান বা এসি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়…

4 hours ago

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে

শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে প্রোটিনের বিকল্প নেই। আপনি যদি নির্বিঘ্নে কাজ করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।…

5 hours ago

ঘুমের মধ্যে কিংবা হাঁটতে গিয়ে পেশিতে টান ধরে যে কারণে

পেশিতে টান ধরার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কখনো ঘুমের মধ্যে কিংবা কখনো হাঁটতে গিয়ে বা আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে হঠাৎই পেশি শক্ত…

7 hours ago

পুরুষের চেয়ে নারীরা যে কারণে বেশি ডিপ্রেশনে ভোগেন

নারীরা মানসিকভাবে পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি জটিলতা ভোগ করেন। শারীরিক সমস্যার মতো মানসিকভাবেও জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে ভেঙে পড়েন…

18 hours ago