নারী-পুরুষের মধ্যে কার চুলকানি বেশি? জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

বিভিন্ন কারণে ত্বকে চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে। গরম হোক কিংবা ফুসকুড়ি-অ্যালার্জির কারণে চুলকানির অনুভূতি হতে পারে যে কারো। তবে শরীর চুলকানোর দিক দিয়ে নাকি নারীর তুলনায় পুরুষরা এগিয়ে আছেন। এমনটিই জানিয়েছে এক গবেষণা।

নারী-পুরুষের মধ্যে আসলে কার চুলকানি বেশি? এ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। তবে চিকিৎসা শাস্ত্র জানাচ্ছে এর নেপথ্যে থাকা অজানা এক সমস্যার কথা।

নারীদেহে হরমোনের প্রভাবের কারণেই চুলকানির মাত্রা কম। ‘এস্ট্রাডোল’ নামক এক হরমোনের কারণেই, ইচিং এর সমস্যা নারীদেহে অনেক কম।

কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল এ বিষয় নিয়ে নানা তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, শুধু অ্যালার্জি কিংবা সোরিয়াসিস নয় চুলকানি নানা কারণে হতে পারে।

শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ও আণবিক নানা কারণে চুলকানি হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে ‘এস্ট্রাডোল’ হরমোনের প্রভাব একেবারেই না থাকায় তাদের মধ্যে চুলকানির মাত্রা অনেক বেশি।

তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল। যাতে দেখা যায়, এস্ট্রাডোল প্রয়োগ করার পরে ইমিউন সেলসে সাইটোকাইন এর মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।

এই একই পরিস্থিতি মানুষের শরীরেও। এই হরমোনের কারণেই শরীরের প্রদাহ অত্যধিক কমতে থাকে। প্রদাহ কম থাকলে চুলকানি অবশ্যই কম থাকবে।

এর সঙ্গেই সম্পর্কিত শরীরে পানির প্রভাব। এটি সঠিক মাত্রায় থাকলে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও কম, ফলে সেই থেকেও চুলকানির সমস্যা কমে।

যে কোনো হরমোনের কারণে, শরীরে নানা ধরনের বদল দেখা যাওয়া খুব স্বাভাবিক। এমনকি ভিন্ন ধরনের হরমোনের কারণে ভিন্ন প্রভাব আসতে পারে।

সেই প্রভাব অবশ্যই নারী পুরুষে আলাদা হয়। অনেকসময় মুড সুইং কিংবা নানা ধরনের শারীরিক পরিবর্তনও ঘটে হরমোনের মাত্রায় ভারসাম্যহীনতার কারণে।

Related News