সাধারণ কয়েকটি অভ্যাসের কারনে হতে পারে ভয়ংকর যৌন রোগ, সতর্ক করছে গবেষণা

Written by News Desk

Published on:

মিলনের সময় কিছু নিয়ম মেনে না চলার কারণে নারী ও পুরুষের উভয়ের সংক্রমন কিছু যৌন রোগ দেখা দিতে পারে। অনেকেই এই সমস্যাটির কারণ ঠিক ভাবে বুঝতে পারে না। ফলে এই সমস্যাটি পরে বড় ধরনের সমস্যায় পরিনত হয়। আসুন তাহলে দেখে নেই রোগটি কি, এর লক্ষণ কি, এবং এক্ষেত্রে করনীয় কি।

* লক্ষণ: পুরুয়ের লিঙ্গ থেকে নিঃসরণ হচ্ছে সাদা বা হলুদ (হালকা হলুদ) জাতীয় পদার্থ এবং প্রসাবের সমং সাধারণত ব্যথা হয়।

এছাড়ও নানান যৌন রোগ রয়েছে। যা নিজের দেহের প্রতি নিজে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন। 

* এই রোগ হওয়ার কারণ: – একাধিক সঙ্গীর সাথে যৌন সঙ্গম করলে এ সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। – যৌনাঙ্গ যদি প্রতিদিন, বিশেষ করে প্রত্যেক সঙ্গমের পর পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে যৌন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। – কনডমের সঠিক ব্যবহার না করা।

* প্রতিরোধের উপায়: – যাদের অনেক যৌন সঙ্গী আছে তাদের সাথে সঙ্গম এড়িয়ে চলুন। – সব সময় সাবান ও জল, বিশেষ করে যৌন সঙ্গমের পর যৌনাঙ্গ ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন।
– রোগীর যৌন সঙ্গীর চিকিৎসা নিশ্চিত করুন, যাতে এই রোগ অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়। – সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করুন।

* চিকিৎসা:কেউ যদি মনে করে তার যৌন রোগ আছে তাহলে যথা শীঘ্রই পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করানো উচিত। শুরুতে যৌন রোগের চিকিৎসা করা সহজ, পরে চিকিৎসা করা কঠিন। 

* যৌন রোগের কারণে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন: সংক্রমনের চিকিৎসা যদি তাড়াতাড়ি না হয়, তাহলে তা যৌনাঙ্গের বাহির থেকে যৌনাঙ্গের ভিতর প্রবেশ করবে। মহিলাদের বেলায় এটা জরায়ু টিউব ও ডিম্ব কোষ এবং পুরুষের বেলায় অন্ডকোষ আক্রমন করবে। এটা প্রথম দিকে সাংঘাতিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে মহিলা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে অথবা পুন: পুন: গর্ভ নষ্ট হতে পারে অথবা মৃত বাচ্চা প্রসব করতে পারে।

পুরুষেরা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। আক্রান্ত পুরুষ অথবা মহিলার অন্যান্য যৌন সঙ্গীর মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়বে। গর্ভবতী মহিলার যৌন রোগের চিকিৎসা না হলে, বাচ্চা যৌন রোগ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসা নিন।

Related News