নাক ডাকার সমস্যায় কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন, জেনে রাখুন অবশ্যই

Written by News Desk

Published on:

মাঝবয়সী ও বয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে নাক ডাকা সমস্যা বেশি হয়। চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে অল্পবিস্তর নাক ডাকা তেমন ক্ষতিকারক নয়। তবে বিকট শব্দে নাক ডাকা অস্বস্তিকর। শিশুদের নাক ডাকা সবসময়ই অস্বাভাবিক, যা সাধারণত বিভিন্ন রোগের কারণে হয়ে থাকে।

মারাত্মক হলো ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসা বা শ্বাস নেয়ার জন্য হাঁসফাঁস করা, যাকে স্নোরিং ও স্লিপ এপনিয়া সিনড্রোম বলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি শ্বাসের রাস্তায় বাতাস ব্যাপকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে হয়ে থাকে, একে অবসট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া বলে।

উপসর্গ-বুদ্ধিমত্তার ক্রমশ অবনতি, অমনোযোগিতা, মনোনিবেশের অক্ষমতা, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, মাথাব্য’থা, সকালে মাথা ভার হয়ে থাকা এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ঘনঘন প্রস্রাব ইত্যাদি নাক ডাকা রোগের প্রধান উপসর্গ।

ঘুমন্ত অবস্থায় যা ঘটে-রোগী সাধারণত শোয়ামাত্র ঘুমিয়ে পড়ে। রোগী ঘুমানোর সঙ্গে সঙ্গে নাক ডাকতে শুরু করে এবং নাক ডাকার শব্দ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে থাকে এবং একপর্যায়ে রোগীর দম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে আসে। ফলে রোগী দম নেয়ার জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকে।

এ অবস্থা চরমে উঠলে রোগীর ঘুম ভেঙে যায়; ফলে রোগী আবার স্বাভাবিক শ্বাস নিতে শুরু করে। এতে তার কিছুটা প্রশান্তি আসে।

কী করণীয়-অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা, ঘুমের ওষুধ সেবন না করা এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমও না করা।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন-এর পরও যদি সমস্যা থেকেই যায়, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Related News