শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে। এরইমধ্যে তরকারিতে ধনেপাতা দেওয়ার চল শুরু হয়েছে। এখন যদিও বাজারে সবসময়ই ধনেপাতা পাওয়া যায়। কিন্তু শীতকাল এলে এর স্বাদ পূর্ণতা পায়। খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এর রয়েছে সুন্দর গন্ধ। তাজা ধনেপাতার চাটনিও খুবই সুস্বাদু। ধনে পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে
ধনেপাতার গুণের কথা একবারে বলে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর এই সবজি এনজাইমগুলো সক্রিয় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শরীরে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ধনে পাতা। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী ধনে পাতা।
হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে
ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ। এর সাহায্যে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর হয় এবং এটি রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খারাপ কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কমাতেও ধনে পাতা কার্যকর। এই দু’টি নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
হজম ভালো রাখে
পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখতেও ধনে পাতা কার্যকর। এটি হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, যার কারণে পাচনতন্ত্র আরও ভালো ভাবে কাজ করে।
শরীরকে ডিটক্সিফাই করে
ধনে পাতা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এই কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। কিডনি সুস্থ রাখতে, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে,রক্তস্রাবের সমস্যা দূর করতে ধনেপাতার জুড়ি মেলা ভার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ, বি-ক্যারোটিনয়েডস, পলিফেনলসের মতো উপকারী ভেষজ গুণ। ধনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
চুল শক্তিশালী করে
ধনে পাতা চুল শক্তিশালী করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধনিয়া পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে, সি এবং এ পাওয়া যায়,যা চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
ধনেপাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে খুব দরকারী। ধনেপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। লিভার সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ধনে পাতাকে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ধনেপাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যালকালয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে, যা জন্ডিসের মতো লিভারের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে,আইবিএস-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধনিয়া বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় সেই তেল প্রয়োগ করলে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, অস্বস্তি এবং ব্যথায় উপশম পাওয়া যায়।