শুধুমাত্র বয়স্কদের ই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এই ধারণা এখন অতীত! বর্তমানে অফিসের অতিরিক্ত পরিশ্রম, মানসিক চাপের কারণে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। সুতরাং হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে শারীরিক লক্ষণ-ইঙ্গিত গুলিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে না দিয়ে আজ থেকেই সচেতন হওয়া শুরু করুন।
যখন হৃদপিন্ডের কোন শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় অথবা কোনো কারণে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচলের গতি কমে গেলেও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। এছাড়াও আচমকা বুকে ব্যথা করলে, সেটি হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ, যাকে বলা হয়ে থাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন।
ঘনঘন শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা, ঘেমে যাওয়া এবং বদহজম বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলিকে একদমই এড়িয়ে যাবেন না। দেহের কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যথা কাধ, পিঠ, বাম বাহু, পেটের উপরি অংশ প্রভৃতি স্থানে ব্যথা বা আড়ষ্ঠতার অনুভব করলেন নিন সত্বর ব্যবস্থা। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কম থাকলেও মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে এই সম্ভাবনা বেড়ে হয় দ্বিগুন।
বর্তমানে কম বয়সীরা জিনগত কারণে হূদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। তবে নিজেদের লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন এনে আমরা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকটাই মাত দিতে পারি। খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে জাঙ্ক ফুড সহ শর্করা এবং চর্বি জাতীয় খাবার। ওজন,রক্তচাপ এবং সুগারকে সর্বদা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। অফিসে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করার সুঅভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি দৈনন্দিন অন্তত আধ ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে।
ধূমপান তো নৈব নৈব চ। ঠিক এভাবেই দৈনন্দিন জীবনে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে আমরা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কে অনেকটাই রুখে দিতে পারি।