যেসব লক্ষণে বুঝবেন যে আপনার শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে, জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

আমাদের দেশে একটি শিশু জন্ম নিলে শিশুদের কিছু রোগ নিয়ে বাবা মায়েরা আতঙ্কে থাকেন। এর মধ্যে নিউমোনিয়া একটি। দেশে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং এদের মধ্যে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়।

এছাড়াও নিউমোনিয়া পরবর্তী নানা জটিলতার দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাতেও শিশুরা ভোগে।  শিশু যেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত না হয় সেজন্য আগে থেকেই সচেতন হতে হবে। আক্রান্ত হলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করতে হবে। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কিনা? আজকের আর্টিকেলে জানাবো শিশুদের নিউমোনিয়া কী, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে-

নিউমোনিয়া কী?
নিউমোনিয়া মূলত ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি সমস্যা। এর ফলে ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হয়। ইংরেজিতে একে বলে রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। নিউমোনিয়া হলে শিশুর স্বাভাবিক শ্বাস প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বর্ষাকাল ও শীতকালে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন নিউমোনিয়া

জ্বর ও ক্লান্তি অনুভব করা, মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ও কাশি হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট, বুকব্যথা ও শরীরে কাঁপুনি, মাথাব্যথা ও শরীরের মাংসপেশি ব্যথা, খাওয়ার প্রতি অনীহা ও বমি বমি ভাব।

বর্ষায় শিশুকে নিউমোনিয়া থেকে বাঁচাতে করণীয়

>> শিশুকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেওয়া যাবে না।

>> স্নানের সময় হালকা গরম জল ব্যবহার করবেন।

>> শিশুকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অন্য শিশুর কাছ থেকে দূরে রাখুন।

>> সবসময় শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সেইসঙ্গে পরিষ্কার পোশাক পরাতে হবে।

>> বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুতে হবে।

>> শিশুর ডায়াপার ঘন ঘন পরিবর্তন করা উচিত।

>> শিশুর যাতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরম না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

>> শিশুকে ঠাণ্ডা জল বা আইসক্রিম খাওয়াবেন না।

>> পর্যাপ্ত তরল খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে।

>> শিশুকে সবসময় হাওয়া বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে রাখতে হবে।

>> নিউমোনিয়ার কিছু ভ্যাকসিন আছে। সেগুলো সময়মতো দিতে হবে। তাহলে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা যায়।

নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
এই রোগের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে কী ধরনের নিউমোনিয়া রোগীকে আক্রমণ করছে তার ওপর। তাই ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Related News