ত্বকের যত্নের মতো ঠোঁটের যত্ন নেওয়াও অনেক জরুরি। আমাদের চোখের নিচের ত্বক যেমন পাতলা হয় তেমনি ঠোঁটও অনেক পাতলা হয়। এর ফলে সহজেই ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় আমাদের ঠোঁট অনেক কালো বা পিগমেন্টেড হয়ে যায়। তবে এই ঠোঁট কালো হওয়ার পিছনের কারণ কী তা অনেকের অজানা।
জীবনযাত্রা এবং অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে ঠোঁটের রঙ কেমন হবে। ঠোঁট যদি তার স্বাভাবিক গোলাপী রঙ হারায় এর পিছনে কারণ কী চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ধূমপান:
ধূমপান শুধু আপনার ফুসফুসের ক্ষতি করে না। আপনি যদি ধূমপান করেন তবে আপনার অধূমপায়ী বন্ধুদের চেয়ে আপনার ঠোঁট কালো হতে পারে।
লিপস্টিক থেকে অ্যালার্জি:
লিপস্টিকে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা থেকে হতে পারে অ্যালার্জি। এই রাসায়নিকগুলো আপনার ঠোঁটে হাইপার পিগমেন্টেশনের জন্য দায়ী।
মেন্থল বা লবঙ্গযুক্ত টুথপেস্টে অ্যালার্জি
আপনার ঠোঁটের সংস্পর্শে আসা সবকিছুই আপনার ঠোঁটের ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি সিগারেটের প্রতি আসক্ত না হন বা প্রায়ই লিপস্টিক না লাগান, তাহলে আপনার টুথপেস্টের কিছু উপাদান থেকে আপনার অ্যালার্জি হতে পারে। যেসব জিনিসে অ্যালার্জি আছে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
ঠোঁট কামড়ানো:
অনেকে কথায় কথায় ঠোঁটে জিহবা লাগায় বা ঠোঁটে কামড় দিয়ে থাকে। আপনার ঠোঁটে কামড় দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং ঠোঁট হাইপার-পিগমেন্টেড হতে পারে।
সুগন্ধিযুক্ত লিপ বাম:
যদিও আপনার চেরি লিপ বামের স্বাদ ভালো মনে হতে পারে কিন্তু আপনার যদি পিগমেন্টেড ঠোঁট থাকে তবে লিম বাম বাছাই করার সময় খেয়াল রাখুন। সুগন্ধিযুক্ত লিপ বাম এড়িয়ে চলুন।
নিম্নমানের, গাঢ় বা ম্যাট লিপস্টিক:
ম্যাট লিপস্টিকগুলো আপনার ঠোঁটকে আরও শুকিয়ে দিতে পারে কারণ এগুলো আপনার মুখের চারপাশে প্রাকৃতিক তেল শোষণ করতে পারে। ঠোঁটের জন্য অনুপযোগী লিপস্টিক ব্যবহার আমাদের ঠোঁটের আরো ক্ষতি করতে পারে।
ড্রাগ এলার্জি:
ওষুধের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণেও ঠোঁট কালো হতে পারে। ঔষধ ব্যবহার বন্ধ করুন এবং আপনার ঠোঁট আগের চেয়ে পিগমেন্টেড দেখালে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
লাইকেন প্ল্যানাস:
এটি একটি ত্বকের অবস্থা যা ত্বকে ফোলা, প্রদাহ এবং জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনার ঠোঁট বেগুনি দেখায় বা ছোট খোঁচা থাকে তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা ভাল।
আপনার ঠোঁটের যত্নের একটি পৃথক রুটিন প্রয়োজন কারণ সবাই চায় সুন্দর ঠোঁট।