করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন এখন গোটা বিশ্বের চিন্তার কারণ। এদিকে গবেষকদের কাছে বড় চিন্তা, করোনার এই ভ্যারিয়্যান্ট তার নিজের রূপ বদলে ফেলেছে সম্পূর্ণভাবে। চেনা কঠিন। ওমিক্রন আক্রান্তদের গন্ধ যাচ্ছে না, বেশিরভাগই জ্বর পর্যন্ত আসছে না বলে দাবি করছেন গবেষকদের একাংশ। করোনার স্বাভাবিক উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল জ্বর, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া, সর্দি, কাশি
তবে সাধারণ সর্দি কাশির থেকে প্রাথমিকভাবে আলাদা কোনও উপসর্গ না দেখা গেলেও সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে ত্বকের সমস্যাও ওমিক্রনের একটি লক্ষণ হতে পারে।
গবেষকদের মতে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও রয়েছে মৃদু জ্বর, গলা খুসখুশ করা, নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি, গা ব্যথা, ক্লান্তির মতো একাধিক উপসর্গ। এ ছাড়াও সম্প্রতি রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে গা ঘুলিয়ে ওঠা ও বমির সমস্যা।
এই সব উপসর্গ ছাড়াও ত্বকের র্যাশ করোনার এই নতুন রূপটির অন্যতম সঙ্কেত হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ত্বকের এই ধরনের সমস্যাকে কোভিডের এই রূপটি চিহ্নিত করার চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি বলে মনে করা হচ্ছে।
ত্বকের সমস্যা ছাড়াও কোভিড আক্রান্তদের কারও কারও আঙুলে ও পায়ের পাতায় লাল অথবা বেগুনি ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে। যা থেকে জ্বালা যন্ত্রণা হচ্ছে বলে খবর।
ত্বকের র্যাশ মূলত দুই ধরনের হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। একটি মৌচাকের মতো এবং অপরটি ঘামাচির মতো। প্রথমটি হয়ে আবার মিলিয়ে যায় দ্রুত। কিন্তু দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে চুলকানি ও জ্বালা যন্ত্রণার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের র্যাশে লাল হয়ে ওঠে শরীরের যে কোনও অঙ্গের ত্বক। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই উপসর্গটি দেখা যায় কনুই, হাঁটু কিংবা হাত ও পায়ের পিছন দিকে।
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতাই হতে পারে একমাত্র হাতিয়ার। কাজেই শীতকালের ঠান্ডা লাগা ভেবে সর্দি কাশিকে উপেক্ষা করবেন না। সন্দেহ হলেই কোভিড পরীক্ষা করান।
গবেষকদের একাংশের কথায়, করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এক্ষেত্রে হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।