অনেকেই রোগা হবেন বলে দুপুরবেলা ভাত খেতে চান না। তবে আপনি কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে দুপুরের ভরপেট ভাত খেয়েও বিন্দাস রোগা থাকতে পারেন। রোগা থাকার একটি নিয়ম হলো আপনি যতটা ক্যালোরি গ্রহণ করলেন ঠিক ততটা ক্যালোরি আপনাকে বার্ন করতে হবে। তাই মেনে চলুন এই নিয়ম। আর এই নিয়ম মেনে চললে দুপুরে পেট ভরে ভাত খান, ওজন বাড়বে না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক নিয়মগুলো সম্পর্কে-
> যেটুকু ভাত খাবেন, ঠিক সম পরিমাণ কাঁচা সবজির সালাদ খাবেন। অর্থাৎ যদি এক কাপ ভাত খান, তাহলে অবশ্য এক কাপ সালাদ খাবেন। খেতেই হবে। এই সালাদে থাকতে পারে শসা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর ইত্যাদি। খুব সামান্য লবণ, কোনো তেল দেবেন না।
> ভাতের সঙ্গে ডাল খাবেন। মাছ বা মাংস যেকোনো একটা খাবেন। সালাদ, ডাল ইত্যাদি আপনার ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে এবং বেশি যেন খেয়ে না ফেলেন সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে।
> ভাত খেতে শুরু করার আগে প্লেটে খাবার মেপে নেবেন এবং যেটুকু নেবেন ঠিক সেটুকুই খাবেন। বারবার প্লেটে খাবার নেবেন না।
> অনেকেই দুপুরে খাবার পর স্নান করেন। এই কাজটি এখন থেকে আর করবেন না। এতে মেটাবোলিজম হার কমে যায় এবং খাবার হজম হয় না, ওজন বাড়ে দ্রুত।
> দুপুরে ভাত খাওয়ার পর ঘুমবেন না, একেবারেই না এবং এক জায়গায় বসেও থাকবেন না। ভাত খাবার আধা ঘণ্টা পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করবেন।
> ভাত খেয়ে ওঠার পরপরই চা বা কফি পানের অভ্যাস থাকে অনেকের। এই অভ্যাসটিও ছেড়ে দিতে হবে।
> রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বসা ভাত খাবেন না এবং ভাতের সঙ্গে কোনো আলু ভর্তা বা আলুর তরকারি খাবেন না। ভাতে কোনো বাড়তি তেল নেই বরং ভাত বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।
এতক্ষণ যে নিয়মগুলো পড়লেন তা মেনে ভাত খান, তাহলেই পেট ভরবে, মন ভরবে কিন্তু ওজন বাড়বে না একটুকুও বরং কমবে যদি এর সঙ্গে নিয়মিত এক ঘণ্টা করে ব্যায়াম চালিয়ে যেতে পারেন।