সিগারেট ধরা যতটা সহজ, ছাড়া ঠিক ততটাই কঠিন। হয়তো প্রতিদিনই সিগারেট ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করছেন, কিন্তু আবার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গও করছেন। কোনভাবেই ছাড়তে পারছেন না! নিরাশ হবার কিছু নেই,তাদের জন্য উপায় আছে।
ধূমপান বর্জনের জন্যে আপনি এই কার্যকর পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে পারেন। গত দুই দশকে অসংখ্য মানুষ এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে ধুমপানের বদভ্যাস থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়েছেন।
এবার জেনে নিন ধূমপান ছাড়ার ৮টি ধাপ:
১. ধূমপান ছাড়ার জন্যে প্রথমে দরকার ইচ্ছাশক্তি। আপনার এই ইচ্ছাশক্তি যত প্রবল হবে ততো তাড়াতাড়ি আপনি ধূমপান ছাড়তে সক্ষম হবেন।
২. অনেকেই সিগারেট ছাড়ার কথা ভেবে পকেটে সিগারেট রাখেন না। ভাবেন,পকেটে থাকলেই খেতে ইচ্ছে করবে। তারা বুঝতে পারেন না যে, সঙ্গে না থাকলে ধূমপানের ইচ্ছেটা আরও বেশি হবে। পকেটে সিগারেট না রাখলে দেখা যাবে, আপনি অন্যের কাছ থেকে সিগারেট চেয়ে নিচ্ছেন। তাই সিগারেট ও ম্যাচ পকেটেই রাখুন।
৩. আপনি শুধু খেয়াল রাখুন, কখন আপনি সিগারেট ধরান। ধূমপানের ইচ্ছা একেকজনের মধ্যে একেক সময়ে জাগে। কেউ টেলিফোনে আলাপ করতে করতে, কেউ কোনো আলোচনার শুরুতে, কেউ টিভি দেখার সময়, কেউ খাবারের পর পর, কেউ বা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সিগারেট ধরান। এ সময়গুলোতে অনেকটা নিজের অজান্তেই সিগারেট ধরিয়ে ফেলেন। যদি সিগারেট ধরিয়েই ফেলেন, তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, আপনি এখন সত্যি সত্যি সিগারেট খেতে চান কিনা?
৪. যদি সত্যি সত্যিই সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে অন্যসব কাজ বাদ দিয়ে আরাম করে বসুন। চুপচাপ বসে সিগারেট খান। মনোযোগ দিয়ে সিগারেট খান।
৫. সিগারেট খাওয়ার সময় শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন। চোখ বন্ধ করে সিগারেটে টান দিয়ে অবলোকন করুন, সিগারেটের ধোঁয়া নাক দিয়ে যাচ্ছে। যেতে যেতে তা একটা গোখরা সাপের আকার ধারণ করছে। ফুসফুসে গিয়েই ফণা তুলে ছোঁবল মারছে আর ঢেলে দিচ্ছে নিকোটিন নামের বিষ। একটা বিষাক্ত সাপ ছোবল মারলে আপনার দেহ-মনে যে অনুভূতি সৃষ্টি হতো ক্ষণিকের জন্যে সে অনুভূতি সৃষ্টি করুন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সে অনুভূতি না এলে অভিনয় করুন। (মনে করুন, মঞ্চে নাটক করছেন। নাটকে আপনাকে অভিনয় করতে হচ্ছে সাপে আক্রান্ত পথিকের ভূমিকায়। সত্যি সত্যি সাপ ছোঁবল মারলে আপনার যে মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া হতো, তাই করুন।) মনের চোখে আপনার নাক মুখ গলা হৃৎপিণ্ড পাকস্থলীর প্রতিক্রিয়া অবলোকন করুন।
৬. পুনরায় সিগারেটে টান দিন। অবলোকন করুন, আরেকটা গোখরা সাপ ফুসফুসের দিকে যাচ্ছে। পূর্বের প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি করুন।
৭. এ পদ্ধতিতে পুরো সিগারেট শেষ করুন। এই পুরো প্রক্রিয়ায় আপনার যে অনুভূতি হলো তা একটি কাগজ বা ডায়েরিতে লিখে রাখুন।
৮. সব কিছু বাদ দিয়ে শুধু মনে রাখুন, অন্যের সামনে বা অন্য কোনো কাজ করতে করতে সিগারেট খাবেন না। যখন সিগারেট খেতে ইচ্ছে করবে, অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে নিরিবিলি বসে এ প্রক্রিয়ায় সিগারেট খাবেন।
এ প্রক্রিয়া কয়েকদিন চালিয়ে গেলে অচিরেই দেখবেন, আপনার দেহ-মন নিজ থেকেই সিগারেট প্রত্যাখ্যান করছে। সিগারেটে টান দিতেই কাশি চলে আসছে। বিস্বাদ লাগছে। সিগারেটের ধোঁয়া গন্ধ লাগতে শুরু করেছে। এভাবে খুব সহজেই ধূমপানের বদভ্যাস থেকে আপনি পুরোপুরি মুক্ত হতে পারবেন।
বয়স বাড়তেই বাবা-মা সন্তানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর সন্তানেরও উচিত এ সময় বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া। বিশেষ করে…
গোসলের সময় কমবেশি সবাই সাবান ব্যবহার করেন। যাতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বা জীবাণু ধুয়ে যায়। তবে প্রতিদিন ত্বকে সাবান…
মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ হলো ফুসফুস। এর সাহায্যেই শরীরে পৌঁছায় অক্সিজেন। আর এই অঙ্গের সাহায্যেই অক্সিজেন মিশে যায় রক্তে।…
অনেকের ত্বকেই অতিরিক্ত আঁচিল দেখা দেয়। নারী-পুরুষ উভয়েরই আঁচিল হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আঁচিল হওয়ার…
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় বর্তমানে অনেকেই ভুগছেন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আবার দু’ভাবে বিভক্ত- অ্যালোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি…
তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে…