অনেক পুরনো দিনের মানুষদের মুখে একটা কথা শোনা যায়, বিয়ের জল গায়ে লাগলে অনেক পরিবর্তন আসে। সত্যি বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জীবনে বহু পরিবর্তন নজরে আসে।শুধুমাত্র জীবনে নয় শরীরের ক্ষেত্রেও দুজনের পরিবর্তন লক্ষণীয়।কিন্তু সচরাচর পুরুষের বাড়তি ওজনের দিকে সেরকম নজর’ যায় না কারোর।স্ত্রীর ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি হয়ে যাওয়াটা অনেকেই ভালো চোখে দেখে না।এই হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ারকারণ যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সকলের সামনে উঠে আসবে।
বিয়ের পর মেয়েদের হঠাৎ করে পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস, কিছুদিন অনিয়মিত খাবার খাওয়া, বিয়ের পর পর কাজকর্ম না করা, এসব কিছুর কারণে ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যায় মেয়েদের।তবে শুধুমাত্র সৌন্দর্য নয়, সুস্থ থাকার জন্য বিয়ের আগে এবং পরে প্রত্যেক মেয়েকে ফিট থাকতে হয়। তাই নিজের ওজন নিজের আয়ত্তে রাখার জন্য রইল বেশ কিছু কার্যকরী টিপস।
১) নিজের খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসের খুব একটা বেশি পরিবর্তন আনা চলবে না। সঠিক সময়ে সঠিক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেকটি পরিবারের খাদ্যাভ্যাস একই রকম নয়। তাই অযথা লজ্জা না করে নিজে যে সময়ের মধ্যে খান, ঠিক সেই সময় খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে হবে। রাতের দিকে বেশি দেরি করা উচিত নয়।
২) শরীরে অত্যধিক মেদ জমে গেলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। নতুন পরিবেশে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি যোগান দেবে এই ভিটামিন বি ক্যাপসুল।
৩) অনেক সময় শরীরে ক্যালসিয়াম কমে গেলে মোটা হবার প্রবণতা দেখা যায়। সেই সময়ে চা বা কফি খাওয়া অনেকটা কমিয়ে দেওয়া উচিত।রাতে শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ক্যালসিয়াম সাপ্লেমেন্ট খেতে ভুলবেন না।
৪) ফিট থাকার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেটি যদি আপনি না মানেন তাহলে আপনার চেহারায় বদল আসবেই। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন আপনার, প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট শরীর চর্চা করবেন।
৫) নতুন বিয়ের পর অনেক সময় আত্মীয়স্বজনের বাড়ি থেকে ক্রমাগত নিমন্ত্রণ এর আহবাণ আসে। বলাই বাহুল্য, বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি বা খাওয়া-দাওয়া করার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বেড়ে যায় আপনার। তাই এই অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে আপনাকে।খুব জোরাজুরি করলেও ঠিক যতটা খাওয়া উচিত ততটাই খেতে হবে আপনাকে।
৬) জন্মনিয়ন্ত্রণের ঔষুধ বাদ দিয়ে অন্য যে কোনো ব্যবস্থা বেছে নেবার চেষ্টা করুন।
৭) একজন ডায়েটিশিয়ান দেখিয়ে সঠিক ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন এবং তা অনুসরণ করে আপনার অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
৮) গৃহবধূ হলে ঘরে চেষ্টা করুন পরিশ্রমের কাজ গুলো করতে, বসে থাকলে আলসেমি বাড়বে, কার সঙ্গে বাড়বে অতিরিক্ত মেদ।