বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষেরই সবচেয়ে বড় সমস্যা হল শারীরিক স্থুলতা। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, জাঙ্কফুড ইত্যাদি কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন সিংহভাগ মানুষ। এই ওজন কমানোর জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েও যাচ্ছেন। কিন্তু তেমনভাবে ওজন কমাতে পারছেন না।
ডায়েট সম্পর্কে কয়েকটি ভ্রান্ত ধারণা বা ডায়েটে থাকাকালীন কয়েকটি ভুলের জন্য মাসের পর মাস চেষ্টার পরও ওজন কমাতে ব্যর্থ হন অনেকে। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…
অধিকাংশ মানুষই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই ডায়েট চার্ট ঠিক করে ফেলেন। নিজেদের মতো করে ডায়েট করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুল পদ্ধতিতে খাবার খাওয়া হয় যা শরীরের ‘ওয়াটার ওয়েট’ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেড়ে যায় শরীরের ফোলা ভাব। একই সঙ্গে কমিয়ে দেয় এনার্জি। যার ফলে বাড়তে থাকে স্ট্রেস বা মানসিক-শারীরিক চাপ। তাই চেষ্টার পরও ওজন কমে না।
তড়িঘড়ি ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়েই দেন। সারাদিন বিস্কুট, আপেল বা একেবারে হালকা খাবার খেয়ে কাটিয়ে দেন। পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমাণ মতো পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে স্লিম হওয়া সম্ভব নয়।
তড়িঘড়ি ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অতিরিক্ত শরীরচর্চা বা ওয়ার্ক আউট করতে শুরু করেন। আচমকা শরীরের উপর অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বাড়তে থাকে স্ট্রেস। ফলে ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
হজমের সমস্যা থাকলে শরীরের ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তেল, মশলাদার খাবার-দাবার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বাড়বে হজমের সমস্যা। ফলে শরীরে জমবে অতিরিক্ত মেদ। বাড়বে ‘ওয়াটার ওয়েট’। যদি দেখেন সব নিয়ম ঠিকঠাক মেনে চলা সত্ত্বেও ওজন কমছে না, তাহলে হয়তো আপনার মোটার ধাত থাকতে পারে বা থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে থাইরয়েড ও হরমোন লেভেল পরীক্ষা করান।