শ্যাম্পু করে নিয়মিত কন্ডিশনার লাগ তাও চুলের শুষ্ক বা ফ্রিজি ভাব কম হয় না। উল্টে বেড়েছে চুল পড়া। চুল পড়া নিয়ে বেশ হতাশ আপনি তবে অনেক চেষ্টা করেও চুলের অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। সাধারণত কন্ডিশনার লাগালে চুল বেশ নরম ও সিল্কি হয় কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে তেমনটা না হলে বুঝতে হবে কন্ডিশনারের ব্যবহার সঠিক ভাবে করছেন না আপনি। কন্ডিশনার ব্যবহারে যাতে কোনও ভুল ভ্রান্তি না থাকে তার জন্য এই ভাবে ব্যবহার করুন কন্ডিশনার-
কন্ডিশনার ভুলেও কখনও স্ক্যাল্পে মাখবেন না।
কন্ডিশনার সব সময় চুলের নীচের অংশে বা হেয়ার এন্ডসে ব্যবহার করুন।
বেশি কন্ডিশনার মানেই যে চুল বেশি সিল্কি কিংবা মসৃণ হবে তা কিন্তু না। কখনই মাত্রাতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। এমনটা করলে চুল ধোওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
শ্যাম্পুর পরে নিয়মকরে কন্ডিশনার লাগান। ভেজা চুলে সামান্য কন্ডিশনার নিয়ে চুলের ডগায় ভাল করে লাগিয়ে নিন।
প্রত্যেকদিন কন্ডিশনার লাগালে কিংবা মাত্রাতিরিক্ত কন্ডিশনের কারণে চুল ঝরতে পারে।
কন্ডিশনার কখনই চুলের গোড়ায় লাগাবেন না।
চুলে কন্ডিশনার লাগানোর সময় হাতে একটা কয়েনের পরিমাণে কন্ডিশনার নিয়ে চুলের ডগায় লাগাতে হবে।
কন্ডিশনার লাগানোর সময় তাড়াহুড়ো করবেন না আঙুলে কন্ডিশনার চুলের গোড়া থেকে দু’ ইঞ্চি ছেড়ে চুলে লাগান। কন্ডিশনার দীর্ঘক্ষণ চুলে লাগিয়ে রাখবেন না। এরকম করলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই কন্ডিশনার চুলে লাগিয়েই ধুয়ে ফেলবেন না। কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর আলতো হাতে মাসাজ করে চুল ধুয়ে ফেলুন।