ক্লান্তিকর কর্ম-ঘণ্টায় চাপমুক্ত থাকার উপায় জানেন কি? না জানলে জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজের চাপ থাকবেই। কাজের চাপ মনকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলতে পারে যা পরে কাজের অনুপ্রেরণা কমিয়ে দেয়।মানসিকস্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কাজের চাপ থেকে মানসিকভাবে নিজেকে দূরে রাখার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

বাইরে হাটঁতে যাওয়া: নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে ও কাজের ক্লান্তি দূর করতে বাইরে হাঁটতে যাওয়া ভালো উপায়। এটা মনকে শান্ত রাখে এবং কাজে নতুন উদ্দীপনা যোগ করে। প্রকৃতির সংস্পর্শে যাওয়া শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখতে সহায়তা করে।

পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি: লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকা হয়। তাই ব্যস্ত কাজের সময়ের একটু অবসরে পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বললে মিলতে পারে চাপ থেকে মুক্তি। কারণ দিন শেষে পরিবারের মানুষগুলোই ভরসার জায়গা হয়ে থাকে।

বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যান: পরিবারের পাশাপাশি বন্ধুরাও জীবনের অন্যতম অংশ। কাজের চাপে খুব বেশি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। অফিসের পরে রাতে একসঙ্গে রাতে খাওয়া, আড্ডা দেওয়ার মতো বিষয়গুলো মানসিক প্রশান্তি পেতে সহায়তা করবে।

পছন্দের গান শোনা: কর্মব্যস্ত একঘেয়ে দিনগুলোতে পছন্দের গান শুনে খুঁজে পেতে পারেন প্রশান্তি। সারাদিন যতই খারাপ কাটুক না কেনো পছন্দের গান ক্লান্তি ঘুচিয়ে পরেরদিনের জন্য আপনাকে আবার নতুন উদ্দমে কাজ শুরু করতে সহায়তা করবে।

অবসর কাটানো: কাজের চাপের কারণে অনেক সময়ই হয়ত নিজের পছন্দের কাজ করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু, কাজের ফাঁকে সময় বের করে নিজের পছন্দের কাজ করা মনকে প্রসন্ন রাখে। সারাদিন কর্ম ব্যস্ত থাকার পরে একটি অবসর কাটানো বা এই অবসরে পছন্দের কাজ করা সারাদিনের ক্লান্তি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

রান্না করা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভাস্যের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়। কাজের চাপ ও জ্বালাপোড়াভাব ক্ষুধা মন্দা সৃষ্টি করে যা মন ও শরীর দুয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার কিংবা নিজে পুষ্টিকর খাবার রান্না করা আপনাকে কাজের চাপ থেকে কাজের চিন্তা থেকে দূরে রাখবে।

পর্যাপ্ত ঘুম: অনেক বেশি পরিশ্রম অনিদ্রার সৃষ্টি করে যা স্বাস্থ্য-ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য বিশ্রাম আবশ্যক। বিশ্রাম না নিয়ে একটানা খাটুনি ক্লান্তি বাড়ায় ও কাজে নিরুৎসাহী করে তোলে। অকারণ দুশ্চিন্তা না করে মস্তিষ্কে বিশ্রাম দেওয়া ও গভীর ঘুম মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

Related News