নন-স্টিকে রান্না করেন, তাহলে যেসব বড় বিপদ ডেকে আনছেন নিজের অজান্তেই! দেখেনিন একঝলকে

Written by News Desk

Published on:

বাড়ির থেকে নিরাপদ জায়গা আর কিছুই হতে পারে না। কারণ যে কোনও পরিস্থিতি থেকেই বাঁচা যায় একমাত্র বাড়িতেই। কিন্তু, সত্যি কি বাড়ি একেবারে নিরাপদ জায়গা? নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কেন এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে, আসলে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক ইত্যাদির সরঞ্জাম থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ মারাত্মক।

বাড়ির (House) থেকে নিরাপদ জায়গা আর কিছুই হতে পারে না। কারণ যে কোনও পরিস্থিতি থেকেই বাঁচা যায় একমাত্র বাড়িতেই। কিন্তু, সত্যি কি বাড়ি একেবারে নিরাপদ জায়গা? নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কেন এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে, আসলে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি (Electronic equipment), রাসায়নিক ইত্যাদির সরঞ্জাম থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ মারাত্মক। প্রায় সব বাড়িতেই এমন কিছু জিনিস থাকে যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। এমনকী, সেই জিনিষগুলি আবার রোজ ব্য়বহারও করা হয়। ফলে সেটা শরীরের ক্ষেত্রে আরও ক্ষতি করে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক বাড়িতে এমন কী জিনিস থাকে যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

এয়ার ফ্রেশনার (Air freshener)
বাড়ির মধ্যে সুন্দর গন্ধ ছাড়ুক এটা কে না চায়। কখনও ফুলের গন্ধ বা চন্দনের গন্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাজারে রয়েছে বহু নামী-দামি এয়ার ফ্রেশনার। অন্দরের বাতাসকে সতেজ করে তোলার জন্য এয়ার ফ্রেশনার অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলি স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক। কারণ ফ্রেশনারের রয়েছে ইথানল, ফর্মালডিহাইড, বিটা-পিনিন ইত্যাদি যৌগ। যার ফলে মাথাব্যথা, ডার্মাটাইটিস, হাঁপানি ও আরও অনেক কিছু হতে পারে।

টয়লেট ক্লিনার (Toilet cleaner)
এটি একটি অতিপরিচিত সরঞ্জাম। টয়লেট জীবাণুমুক্ত ও পরিস্কার করতে গিয়ে সবাই টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করেন। প্যানের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণু এবং একগুঁয়ে দাগ থেকে পরিত্রাণ পেতে শক্তিশালী রাসায়নিক ক্লিনার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই রাসায়নিকগুলি স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এটি বিপদও ডেকে আনতে পারে। টয়লেট ক্লিনারগুলিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) এর মতো যৌগ থাকে, যার কারণে ত্বক ও চোখের জ্বালা ধরা, ত্বকে পুড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

ফ্লেম প্রতিরোধক
সোফা সেট, গদি বা কার্পেটের মত কিছু গৃহস্থালির সামগ্রীতে ফ্লেম প্রতিরোধক রয়েছে। যেগুলি থেকে খুব তাড়াতাড়ি আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে, সেগুলির টেক্সটাইলগুলির প্রদাহের ঝুঁকি কমাতে ব্যবহৃত হয়। আগুন প্রতিরোধকগুলিতে বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ক্যানসার, নিউরোলজিক্যাল ড্যামেজও হতে পারে।

নন-স্টিক কুকওয়্যার (Non-stick cookware)
নন-স্টিকে রান্না করা খুবই সহজ। এখন তো প্রায় সবই নন-স্টিক হয়ে গিয়েছে। আসলে এতে খাবার আটকে যায় না, আবার ধুলেও খুব সহজেই চলে যায়। ফলে অ্যালুমিনিয়াম বা কাঁসার থালা-বাসনে আর রান্না করতে কেউই চান না। তাই ঘরে ঘরে এখন নন-স্টিক। কিন্তু, এটি ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক নয়। আসলে এর উপরে রয়েছে পলিটেট্রাফ্লুরোইথিলিনের প্রলেপ। যা টেফলন নামেও পরিচিত। ২৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় এই যৌগটি গলে গিয়ে বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিণত হয়। যার ফলে মাথাব্যাথা, বমি বমি ভাবও হতে পারে।rs

Related News