শুকনো গোলাপের পাপড়ির ১০টি দারুণ ব্যবহার, জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

ফুলের কথা প্রথমেই সবার মাথায় আসবে গোলাপের নাম। সবচেয়ে সুন্দর ও সুঘ্রাণযুক্ত এই ফুলটি শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, তার গুণের জন্যেও অনন্য। বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও শান্তির প্রতিক বহনকারী গোলাপের শুকনো পাপড়ির দারুণ দশটি ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন।

১. শুকনো গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে চমৎকার ফেস প্যাক তৈরি করা যায়।

২. শুকনো গোলাপের পাপড়ি থেকে তৈরি করা গোলাপজল ত্বকের যত্নে ও ত্বক পরিষ্কার করতে দারুণ কার্যকর।

৩. শুকনো ও গুঁড়া করা গোলাপের পাপড়ি জলে মিশিয়ে ক্ষতস্থানে ব্যবহার করলে ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো হয়।

৪. শুকনো গোলাপের পাপড়ি গুঁড়া দুধের সঙ্গে স্বল্প পরিমাণ মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডিটি ও স্টমাক আলসারের সমস্যা কমে যায়।

৫. শুধু অ্যাসিডিটির সমস্যাই নয়, ডায়রিয়ায় প্রকোপ কমাতেই উপকারী শুকনো গোলাপের পাপড়ি।

৬. ডায়রিয়ায় পাশাপাশি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে উপকারী ভূমিকা রাখে শুকনো গোলাপের পাপড়ির গুঁড়া।

৭. হারবাল চা তৈরিতে শুকনো গোলাপের পাপড়ির ব্যবহার নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন মশলার সঙ্গে শুকনো এক-দুইটি পাপড়ি বা পাপড়ি গুঁড়া ব্যবহারে অ্যাসিডিটির সমস্যাসহ দাঁতের ক্যাভিটি বা ক্ষয়রোধ রোধ করা সম্ভব।

৮. গলা ব্যথা অথবা অতিরিক্ত কাশি ও কাশির ফলে গলার ভেতরে ছিলে যাওয়ার মত জ্বলুনিভাব কমাতে চাইতে শুকনো গোলাপের পাপড়ি জলে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে সেই জলে গার্গল করতে হবে।

৯. গোলাপের কুড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। তাই গোলাপের কুড়ির শুকনো পাপড়ির চা ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও কাশির প্রাদুর্ভাব কমাতে কার্যকর।

১০. পুরো বিশ্ব জুড়েই রোজ অয়েল অন্যতম সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি পণ্য। এই তেল ঘরেই তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। শুকনো গোলাপের পাপড়ি এবং নারিকেল তেল জ্বাল দিতে হবে মাঝারি আঁচে। তেলের রঙ পরিবর্তন হয়ে আসলে জলে ছেঁকে নিতে হবে ভালোভাবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।

শুকনো গোলাপের পাপড়ি কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে?
ফুল থেকে পাপড়ি ছিঁড়ে টিস্যুর সাহায্যে চেপে চেপে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকানো হয়ে গেলে রোদের আলোয় ২-৩ ঘণ্টা রেখে এরপর পুনরায় টিস্যুর সাহায্যে মুছে এয়ার টাইট বক্সে ছড়িয়ে রেখে দিতে হবে। ৪-৫ দিনের মধ্যে পাপড়িগুলো শুকিয়ে আসবে। এরপর প্রয়োজন মতো শুকনো গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করা যাবে।

Related News