অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন এই নিয়ম তাহলেই সুস্থ থাকবেন বছরভর, জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

Written by News Desk

Published on:

ডেল্টার মত ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলেও ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান। সংক্রমনের হার যেভাবে দিন দিন বাড়ছে তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা এবং তা বজায় রাখা অত্যন্ত আবশ্যক। বলা বহুল্য এই কোভিডকালে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন সকলেই। গত দুবছর যেভাবে কোভিডের আতঙ্কে দিন কেটেছে তাতে খাওয়া দাওয়া ও স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ কিছু পুরোনো অভ্যেসে ফিরে গেছেন অনেকেই। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সুষম আহার, পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীর চর্চার দিকে পা বাড়িয়েছেন। এ বছরের যাতে ভাল অভ্যেসের ছন্দপতন না ঘটে তাই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকুন। গোটা বছর নিজেকে সুস্থ রাখতে এই ভুলগুলো করবেন না।

জাঙ্ক বা প্রসেস্ড ফুডের দিকে ঝুঁকবেন না

স্বাদ বদলের জন্য মাঝে মধ্য খেতে পারেন কিন্তু এটা যাতে অভ্যেসে পরিণত না হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে। জাঙ্ক ফুড মানেই বেশি করে ফ্যাট, কার্ব ও প্রোসেস্ড সুগার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া কিংবা স্থুলতা সহ একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগের সুত্রপাত হওয়া। এদিকে স্থুলতা থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা সহ হার্টের সমস্যার সুত্রপাত। একদিকে জাঙ্ক ফুড খেয়ে শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া অন্যদিকে আবার এই চিনি হজম করতে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের অভাব।

এর ফলে প্রভাবিত হয় আপনার মেটাবলিজম এবং হ্রাস পায় প্যাঙ্ক্রিয়াসের ইনসুলিন তৈরির ক্ষমতা। তাই নিত্য দিনের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। চেষ্টা করুন বেশি করে এই খাবার খেতে-

নানা রকমের শাক সবজি খান।

প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাংস, ডিম, পোল্ট্রি, ডাল, শস্য, বিনস খান।
বাদাম ও নানা রকমের পুষ্টিকর বীজ খেতে পারেন।
প্রয়োজনে তুলনামূলক কম প্রোসেস্ড খাবার যেমন পাউরুটি, চিজ, প্রোসেস্ড মিট বা প্রিমেড ফ্রোজেন মিল খেতে পারেন।
সকালে এক কাপ ব্লুবেরি, দুপুরে পালং শাকের লাঞ্চ, কচি গাজর, স্ন্যাকস হিসেবে সেলেরি আর রাতের খাবার ব্রোকোলি খেয়ে দেখতে পারেন। এ গুলো নিত্য দিনের খাদ্যতালিকায় রাখা তেমন কিছু শক্ত না।
প্রচুর পরিমানে জল খান আর চিনিযুক্ত পানীয় কম খান। চাইলে এক গ্লাস জলে শশা বা পুদিনা পাতা, ও লেবুর রস মিশিয়ে খতে পারেন।
প্রত্যেক দিন তিন থেকে চারবার সবজি খেতে পারেন।
নিজেকে চাপ মু্ক্ত রাখুন

নিত্য জীবনযাপনে ওঠা পড়া লেগেই আছে। তাই সাময়িক মন খারাপ হতেই পারে তাই বলে সব সময় বিমর্ষ হয়ে থাকবেন না। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ মানেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব পড়া। উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, ওজন বেড়ে যাওয়া ও ডায়বিটিসের মত সমস্যার সুত্রপাত। নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে মেডিটেশন, যোগাসন, ডিপ ব্রেদিং, শরীরচর্চা করতে পারেন। অবসর সময়ে নিজের পছন্দের কাজ করতে পারেন এতে মন ভাল থাকবে।

মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা করবেন না

প্রত্যেক সপ্তাহে সাড়ে তিন ঘন্টা করে শরীরচর্চা যথেষ্ট। কিংবা সপ্তাহের পাঁচ দিন পয়তাল্লিশ মিনিট করে শরীরচর্চা করতে পারেন। কখনও শরীর ভাল না থাকলে বা আচমকা অসুস্থতা বোধ করলে বিশ্রাম নিন। জোর করে শরীরচর্চা করবেন না এর ফল মারাত্মক হতে পারে।

অনিয়মিত ঘুমের অভ্যেস ছাড়তে হবে

প্যান্ডেমিকের কারনে ইলেট্রনিক ডিভাইসের প্রতি আশক্তি বেড়েছে কয়েকগুন। পড়াশোনা হোক কাজ কিংবা মনোরঞ্জন দিনের অধিকাংশ সময় কাটছে স্ক্রিনের সামনে বসে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সোশাল মিডিয়ায় ব্যাস থাকছেন অধিকাংশ। ফলে ব্যঘাত হচ্ছে ঘুমে। অনেকে আবার অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে আসছেন সঙ্গে করে কিংবা আবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকছে সময়েরক খেয়াল ফলে কম ঘুম, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবের মধ্যে শরীর চাঙ্গা রাখতে কাপের পর কাপ ক্যাফেন যুক্ত পানীয় সব মিলিয়ে কয়েক ধাপ বাড়িয়ে তুলছে উদ্বেগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে দিনে অনন্ত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমোতে হবে। পাশাপাশি অন্তত ৫ থেকে ১৫ মিনিট রোগ পোহাতে হবে। এতে শরীর ও মন দু’টোই ভাল থাকবে।rs

Related News