আপনি কি জানেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কখন ব্যবহার করবেন ও কখন করবেন না, জেনেনিন সবিস্তারে

Written by News Desk

Published on:

সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এই যুগে এর প্রভাব যেকোনো ক্ষতিকর মাদকের চেয়ে কম নয়। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে স্বাস্থ্য ও ঘুমেরও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

প্রাপ্ত বয়স্করা ঘুমানোর সময়ের চেয়ে বেশি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার ফলে বিষন্নতায় ভোগার সম্পর্ক তো আছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে উদ্বেগ ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বোধ।

যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা এখন দিনে গড়ে ছয় থেকে আট ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করে। আর বড়রা যতটা ঘুমায় তার চেয়ে বেশি সময় কাটায় ফেসবুক, টুইটারের মতো মিডিয়ায় ঢু মেরে।

সেন্টার ফর রিসার্চ ইন মিডিয়া, টেকনলোজি ও হোলথের পরিচালক ব্রিয়ান প্রিম্যাক বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন ব্যক্তির কর্মকাণ্ড দেখে মনে হতে পারে সে খুব সামাজিক। সবার পোস্টে কমেন্ট করছে, সবার সঙ্গে ছবি তুলছে; কিন্তু বাস্তবতা হলো এরাই বেশি নিসঃঙ্গতায় ভোগে। বিষন্নতার কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ে, নাকি বেশি পরিমাণে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে বিষন্নতা বৃদ্ধি পায় তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিম্যাকের ভাষ্য, বেশি পরিমাণে হতাশ থাকলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়।

দিনের কোন সময়টাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরিপূর্ণ বিশ্রামের জন্য ঘুমের আগে ৩০ মিনিট স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপিকা জেসিকা ল্যাভেনসন। তা না হলে কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্কদেরও সময়মতো ঘুমানোর জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল হবে।

এর সহজ কিছু সমাধানও আছে। কেননা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে একদম দূরে থাকাও সম্ভব নয়। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে দিনের কোন সময়টা ব্যবহারকারীরা বেছে নেবেন তা নির্ধারণ করার প্রতিই জোর দিয়েছেন প্রিম্যাক।

Related News