আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ফ্লসিং অপরিহার্য? জানাচ্ছে চিকিৎসকরা

Written by News Desk

Published on:

রোজ আমরা যে খাবারগুলি খাই, তার কিছু দেখবেন দাঁতের গায়ে লেগে থাকে, চিবোনোর সময় দাঁতের ফাঁকে তো ঢোকেই। ময়দা, চিনি, চকোলেট, তেল যে সব খাবারে বেশি থাকে, সেই খাবারগুলি দাঁতের গায়ে আটকেও থাকে বেশিক্ষণের জন্য। ফর্টিস আনন্দপুর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ডেন্টাল সায়েন্স কনসালট্যান্ট ডা. হিমাদ্রি রায়চৌধুরী বলছেন, ‘‘বাচ্চা থেকে আরম্ভ করে ব্যস্ত চাকরিজীবী সকলের টিফিন বাক্স খুললেই কেক-বিস্কিট-মিষ্টি-চকোলেটের মধ্যে কোনও না কোনও একটা বা দুটো আইটেম মিলবেই! দিনের পর দিন এই ধরনের খাবার খাওয়ার কতগুলো বিপদ আছে। মনে রাখবেন,আমাদের দাঁতগুলো টানা একটা সমতল স্ট্রাকচার নয়, তার মধ্যে ভাঁজ আছে, ফাঁক আছে। এর ফাঁকে ফাঁকেই এই ধরনের খাবার থেকে গিয়ে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে।’’

এই স্তরটি অত্যন্ত চটচটে ও আঠালো এবং দাঁতের গায়ে তা পরতের মতো আটকে যায়। সমস্যা হচ্ছে, খুব প্রপারলি ব্রাশ না করলে এই স্তরটা সরার কথা নয়। ফলে দিনের পর দিন তা জমে যায় এবং ক্যালকুলাস তৈরি করে। ক্যালকুলাস কী? ক্যালকুলাস হচ্ছে ক্যালশিয়াম, স্যালাইভা, স্যালাইভা বা লালার মধ্যে থাকা নানা মিনারেল কম্পাউন্ডের সঙ্গে মিশে তৈরি হওয়া কঠিন একটি স্ট্রাকচার। এই লেয়ার আমাদের জিঞ্জাইভা বা মাড়ির ‘রিসেশন’ ঘটায়। ‘‘মানে হচ্ছে, এর চাপে আপনার মাড়ি আসল অবস্থানের চেয়ে নিচে নেমে যায়। এটা যত হতে থাকবে, তত বেশি খাবার আপনার দাঁতে আটকাবে।

মনে রাখবেন, আপনার দাঁত হচ্ছে অ্যালভিওলার বোন। তা ক্ষয়ে যেতে আরম্ভ করবে, দাঁত আর মাড়ির বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়বে ও দাঁত নড়ে যাবে। চিকিৎসা না করালে কিন্তু দাঁত পড়েও যেতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন। সেই সঙ্গে রাতে শোওয়ার আগে ব্রাশ করতে ভুলবেন না। আর মনে রাখবেন, দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের পরত সরাতে দারুণ কার্যকর হচ্ছে ফ্লস। যে কোনও ওষুধের দোকানে তা কিনতে পাওয়া যায়। রাতে দাঁত মাজার সময় অবশ্যই ফ্লস করে পুরো মুখগহ্বর পরিষ্কার করে নিতে হবে। ডেন্টিস্টের কাছে গেলেই তিনি আপনাকে ফ্লসের ব্যবহারবিধি শিখিয়ে দেবেন,’’ পরামর্শ দিচ্ছেন ডা. রায়চৌধুরী।

রোজ আমরা যে খাবারগুলি খাই, তার কিছু দেখবেন দাঁতের গায়ে লেগে থাকে, চিবোনোর সময় দাঁতের ফাঁকে তো ঢোকেই। ময়দা, চিনি, চকোলেট, তেল যে সব খাবারে বেশি থাকে, সেই খাবারগুলি দাঁতের গায়ে আটকেও থাকে বেশিক্ষণের জন্য। ফর্টিস আনন্দপুর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ডেন্টাল সায়েন্স কনসালট্যান্ট ডা. হিমাদ্রি রায়চৌধুরী বলছেন, ‘‘বাচ্চা থেকে আরম্ভ করে ব্যস্ত চাকরিজীবী সকলের টিফিন বাক্স খুললেই কেক-বিস্কিট-মিষ্টি-চকোলেটের মধ্যে কোনও না কোনও একটা বা দুটো আইটেম মিলবেই! দিনের পর দিন এই ধরনের খাবার খাওয়ার কতগুলো বিপদ আছে। মনে রাখবেন,আমাদের দাঁতগুলো টানা একটা সমতল স্ট্রাকচার নয়, তার মধ্যে ভাঁজ আছে, ফাঁক আছে। এর ফাঁকে ফাঁকেই এই ধরনের খাবার থেকে গিয়ে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে।’’

এই স্তরটি অত্যন্ত চটচটে ও আঠালো এবং দাঁতের গায়ে তা পরতের মতো আটকে যায়। সমস্যা হচ্ছে, খুব প্রপারলি ব্রাশ না করলে এই স্তরটা সরার কথা নয়। ফলে দিনের পর দিন তা জমে যায় এবং ক্যালকুলাস তৈরি করে। ক্যালকুলাস কী? ক্যালকুলাস হচ্ছে ক্যালশিয়াম, স্যালাইভা, স্যালাইভা বা লালার মধ্যে থাকা নানা মিনারেল কম্পাউন্ডের সঙ্গে মিশে তৈরি হওয়া কঠিন একটি স্ট্রাকচার। এই লেয়ার আমাদের জিঞ্জাইভা বা মাড়ির ‘রিসেশন’ ঘটায়। ‘‘মানে হচ্ছে, এর চাপে আপনার মাড়ি আসল অবস্থানের চেয়ে নিচে নেমে যায়। এটা যত হতে থাকবে, তত বেশি খাবার আপনার দাঁতে আটকাবে।

মনে রাখবেন, আপনার দাঁত হচ্ছে অ্যালভিওলার বোন। তা ক্ষয়ে যেতে আরম্ভ করবে, দাঁত আর মাড়ির বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়বে ও দাঁত নড়ে যাবে। চিকিৎসা না করালে কিন্তু দাঁত পড়েও যেতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন। সেই সঙ্গে রাতে শোওয়ার আগে ব্রাশ করতে ভুলবেন না। আর মনে রাখবেন, দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের পরত সরাতে দারুণ কার্যকর হচ্ছে ফ্লস। যে কোনও ওষুধের দোকানে তা কিনতে পাওয়া যায়। রাতে দাঁত মাজার সময় অবশ্যই ফ্লস করে পুরো মুখগহ্বর পরিষ্কার করে নিতে হবে। ডেন্টিস্টের কাছে গেলেই তিনি আপনাকে ফ্লসের ব্যবহারবিধি শিখিয়ে দেবেন,’’ পরামর্শ দিচ্ছেন ডা. রায়চৌধুরী।

আর এন টেগোর হাসপাতালের সঙ্গ যুক্ত ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জন ডা. কৌস্তুভ রায় বলছেন, ‘‘সম্ভব হলে দিনে দু’বার ব্রাশের সঙ্গে সঙ্গে দু’বারই ফ্লসও ব্যবহার করুন। ব্রেকফাস্টের পরে এবং ডিনারের পরে অতি অবশ্যই ব্লাশ করা উচিত। সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল ও সবজি রাখুন, কমিয়ে দিন সফট ড্রিঙ্ক, চকোলেট বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া।

Related News