সুখবর : হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবে দুপুরের ২০ মিনিট ঘুম

Written by News Desk

Published on:

প্রতিদিন ২০ মিনিটের ঘুম আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবে।

গ্রীসের একটি হাসপাতালের গবেষণা অনুযায়ী মাথা ঠেকিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারলে ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ কমে।

গবেষণায় বয়স্ক মানুষদের কথা মাথায় রেখে চালানো হয়েছে। দিনের কোনো একটি সময় চোখ বন্ধ করে ঝটিকা একটু ঘুমিয়ে নিতে পারলে উপকার পাবে যেকোনো বয়সী মানুষ।

গবেষণা কার্যক্রমটির পরিচালনাকারী কার্ডিওলজিস্ট মানোলিস কালিস্ট্রাটোস বলেন, ‘দিনের বেলার অল্প সময়ের ঘুম সহজেই নিয়ে নেয়া যায় এবং সাধারণত সেজন্য কিছু খরচ করতে হয় না।’

‘আমাদের গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বলতে পারি, যদি কেউ দিনের বেলা ঘুমানোর বিলাসিতাটুকু নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেতে পারে তবে এটি উচ্চ রক্তচাপের জন্য উপকার করবে।’

গবেষণায় দেখা গেছে, স্বল্প মাত্রার ওষুধ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যে পরিমাণ কাজ করে থাকে; দিনের বেলা ২০ মিনিটের ঘুম সেই পরিমাণ রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।

সুতরাং আমোদের সবারই সম্ভবত দিনের বেলা কোনো একসময় ভালোমতো একটু ঘুমিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। ভালো পেতে প্রচেষ্টা করা উচিত।

কিন্তু কখন ঘুমাতে হবে?

দুপুরের পরপর যে একটা ঝিমুনি ভাব হয় সেটি মধ্যাহ্নভোজনে উদরপূর্তি খাবারের জন্য সেটাই নয়, এই অবস্থার নাম ‘আফটারনুন লুল’ যা আমাদের ডিএনএতে প্রবাহিত।

নুষ হাজার হাজার বছর আগে মধ্য-দুপুরে বিশ্রাম নিত এবং সেই আচরণ আমাদের সারকাডিয়ান রিদম বা ছন্দে ফুটে ওঠে।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত যেভাবে কাজ করে চলেছে মানুষের শরীর, শরীরের সেই নিয়মমাফিক চলাকেই সারকাডিয়ান রিদম বা স্পন্দন বলে যা মানবদেহের সুস্থতার চাবিকাঠি।

তিনি বলেন, ‘আপনার সারকাডিয়ান রিদম হচ্ছে আপনার ২৪ ঘণ্টার দেহ-ঘড়ি’।

‘যখন আপনি কাজে থাকুন বা স্কুলে থাকুন সবসময়ই আপনার সুইচ চালু থাকে। কিন্তু যখনই আপনি ন্যাপ নিচ্ছেন তখন আপনি অন্যদিকে সুইচ চালু করলেন এবং সেটা বিশ্রাম ও পরিপাক মুডে চলে এলো।’

হয়তো আপনি একটি ছোট কক্ষে গিয়ে সেখানে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারেন কিংবা পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে অর্থাৎ সেরকম কোনো কক্ষ না পাওয়া গেলে আপনি বাথরুমেই চলে যেতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে বসে থাকতে পারেন ১০ মিনিটের জন্য।

গ্রীষ্মের সময় কাছাকাছি কোনো পার্কে গিয়ে চোখ বন্ধ করে থাকা যেতে পারে।

তবে হ্যাঁ একেবারে ঘুমিয়ে গেলে চলবে না। অবশ্যই অ্যালার্ম সেট করে রাখতে হবে যাতে করে আবার যথাসময়ে নিশ্চিন্তে কাজ-কর্মে ফেরা যায়।

তবে ২০ মিনিটের বেশি ঘুম হলে সেটাকে মনে করা হবে আপনি গভীর ঘুমে চলে গেছেন, যার ফলে হয়তো জেগে উঠতে কষ্ট হবে। আর এটা আরো খারাপ ধরনের অনুভূতি দিতে পারে- সতর্ক করেন এই গবেষক।

যারা নতুন নতুন ন্যাপ নিতে শুরু করেছেন তাদের মোবাইল ফোনে বা ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করে রাখতে হবে। কিন্তু কয়েক মাস পরে নিজেরাই নির্দিষ্ট এবং কাঙ্ক্ষিত সময়ে ঘুম থেকে জেগে উঠতে পারবেন ।

Related News