এখন ওষুধ ছাড়াই আপনার কোমর ও পিঠের ব্যথা দূর করবেন যেভাবে! দেখেনিন

Written by News Desk

Published on:

কোমরের ব্যথায় অনেকেই অস্থির থাকেন। এরা বসা থেকে উঠতে গেলে ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠেন। আবার অফিসে একটানা চেয়ারে বসে কাজ করতে করতে মেরুদণ্ডের কাছে ব্যথা শুরু হয় অনেকেরই। বস্তুত, এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করায় মেরুদণ্ডের পেশীগুলোর যে শক্তি প্রয়োজন হয়, তার অনেকটাই হারিয়ে ফেলি আমরা। পরিচর্যার অভাবে বয়স বাড়ার অনেক আগেই ব্যথাজনিত নানাবিধ সমস্যায় কাবু করে ফেলে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ক্রনিক এই সমস্যার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত কার্যকরী। বেদনানাশক ওষুধ খেয়ে দিনের পর দিন ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণ করতে যাওয়া নিছক বোকামি। সাময়িক আরাম মিললেও মূল অসুখ কোন দিনই কমে না। আবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্য অসুখও ডেকে আনে। বরং জীবনযাপনের তালিকায় কিছু জিনিস প্রবেশ করাতে পারলে এই সমস্যাগুলো থেকে দূরে থাকা যাবে।

মূলত পাঁচটি বিষয়ের উপর জোর দিলেই দিনের শেষে অনেকটা সুস্থ থাকবেন আপনি। যা পেশী ও হাড়কে মজবুত করে ব্যথা দূর করতে বিশেষভাবে কাজে আসবে। এবার সেই পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন…

শরীরচর্চা
হাড়, পেশী ও মেরুদণ্ডের জোর বাড়াতে এর চেয়ে উপকারী আর কোন ওষুধ নেই। বিশেষজ্ঞ ট্রেনারের কাছ থেকে শরীরের গড়ন ও ধরন বুঝে জেনে নিন আপনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম কোনটি। এ ছাড়া দৌড়নো, জগিং, কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ব্যথা সারাতে ও পেশীর জোর বাড়াতে বিশেষভাবে কাজে আসে।

ঠাণ্ডা-গরম সেঁক
ব্যথা শুরু হলে পেশীকে আরাম দিতে ও শরীরের প্রদাহ কমাতে ঠাণ্ডা ও গরম সেঁক দিন। একবার হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যথার জায়গায় ধরে থাকুন ১৫ সেকেন্ডের মতো। তারপর আবার সেখানে ১৫ সেকেন্ডের জন্য কোল্ড ব্যাগ সেঁক দিন। এভাবে মিনিট দশ-পনেরো সেঁক দেওয়ার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, পেশীকে শিথিল করবে। এদের হাত ধরেই কমবে ব্যথা।

ঘুম
ক্রনিক ব্যথায় যারা ভোগেন, তারা প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিয়ম করে ঘুমাবেন। ঘুমানোর সময় শোওয়ার ধরনও ঠিক রাখুন। অনেক সময় ভুল ধরন থেকেও পেশীতে ব্যথা হয়।

জুতা
কোমর ও পিঠে ব্যথা প্রায়ই হলে জুতা বদলাতে হবে। হিলকে রাখুন দূরে, যদিও কোন দিন পরতে ইচ্ছা হয়, তাহলেও হাই হিল কখনওই নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জুতা বাছুন। শুধু নরম চামড়াই নয়, জুতার গ্রিপ, আকার সব কিছুই খতিয়ে দেখে কিনতে হবে।

ডায়েট
হাড় শক্ত করার খাবার রাখুন প্রতিদিনের ডায়েটে। ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার হাড় ও পেশীর জোর বাড়ায়। হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ করে। তাই এসব খাবার খেয়ে পেশীকে মজবুত রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ঠিকঠাক ডায়েট ও ব্যায়ামের কারণে ওজনও কম থাকবে। ওজন কম রাখলে হাঁটু ও কোমরের উপর বেশি ভার না পরায় এগুলো দীর্ঘদিন শক্তিশালী থাকবে।rs

Related News