নিয়মিত সাইকেল চালানোর ভালো দিকগুলো, জানেন কি?

Written by News Desk

Published on:

গবেষণাও বলছে, শরীরচর্চায় ‘সাইক্লিং’য়ের জুড়ি মেলা ভার। আসুন জেনে নেই সাইক্লিংয়ের উপকারিতা:

1. সময় ও টাকা বাঁচায়
সাইকেল তরুণ প্রজন্মের বিশেষ পছন্দের বাহন। পরিবেশবান্ধব এবং জ্যামের মধ্যে সর্পিল গতিতে এঁকেবেঁকে যাওয়ার সুবিধায় সাইক্লিংয়ের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে ঢাকার রাস্তায় অফিসে যাতায়াতের জন্যও বাড়ছে সাইকেলের ব্যবহার। এতে যেমন শরীরচর্চা হচ্ছে, তেমনি ঢাকা শহরটাকে দূষণের হাত থেকেও কিছুটা বাঁচানো যাচ্ছে আর জ্বালানি খরচ না থাকায় পকেটের পয়সাও বাঁচছে।

2.ফিটনেস বান্ধব
উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ‘সাইক্লিং’ ভীষণ উপকারী। সাইকেল চালালে শরীরের সমস্ত অংশের ওপর প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে কোমর থেকে শরীরের নিম্নাংশ পর্যন্ত সব ধরনের পেশির সংকোচন-প্রসারণ ঘটে। এতে পেশি সুগঠিত হয়। সাইকেল চালালে প্রচুর ঘাম নিঃসরণ হয়। রক্তে নিঃসরণ হয় ভালো লাগার হরমোন এন্ডোরফিন। মনে প্রশান্তি আসে, মন ভালো থাকে এবং অতিরিক্ত চাপ কমায়।

3.ওজন কমায়
আর্কাইভ অব পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড অ্যাডলোসেন্ট মেডিসিন সাময়িকী জানিয়েছে, নিয়মিত সাইকেল চালালে মোটা লোকদের স্বাভাবিক ওজন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ। একই সাময়িকীতে প্রকাশ, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে রোজ সাইকেল চালিয়ে যান, তাঁদের মোটা হওয়ার আশঙ্কা মাত্র ৪০ শতাংশ। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝড়াতে তাই ‘সাইক্লিং’ হতে পারে খুব ভালো উপায়। শরীর থেকে ঝরছে অতিরিক্ত মেদ। শুধু নিয়মিত ‘সাইক্লিং’ করেই ছিপছিপে ফিট জীবনের স্বাদ পাচ্ছে বাঙালি।

4.হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা পাঁচ বছর ধরে গবেষণার পর জানিয়েছেন, যেসব মানুষ নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান, তাঁদের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ কমে যায়। ভারতের শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ‘ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট’ অমর সিঙ্গলের ভাষ্যও একই রকম। তাঁর মতে, প্রতিদিন ন্যূনতম ২০ মিনিট সাইকেল চালালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় অর্ধেক কমে যায়।

Related News