সন্তানকে পড়ায় মনোযোগী করতে মেনে চলুন এই ৭টি বিশেষ কৌশল

Written by News Desk

Published on:

সন্তানকে পড়ায় মনোযোগী করতে কে না চায়। সাবাই চায় নিজের সন্তানকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে।কিন্তু অনেক সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা পিতা-মাতার কথা শুণতে চায় না এবং পড়া-শুণাতেও মোনযোগ দেয় না।

এ সমস্ত সমস্যা সামাধানে আপনি নিচের কয়েকটি কৌশল অনুসরণ করতে পারেন।

#সন্তান কিছুটা বড় না হওয়া পর্যন্ত পড়তে বসলে তার সামনে থাকুন। এমন একটা সময় তার পড়ার জন্য বরাদ্দ করুন, যাতে অফিস সামলে সেই সময়টা আপনিও বাড়িতে থাকেন। সামনে থাকলে কোথায় ঘাটতি সে সব বোঝা অনেক সহজ হবে।

#শিশুর ক্ষেত্রে ছবি ও ব্লকের সাহায্য নিন। পড়ার বিষয়টা ছবি এঁকে, প্রয়োজনে আলাদা আলাদা রং ব্যবহার করে বোঝান। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভিজ্যুয়াল কোনও দৃশ্যও খুব কাজে আসে। তাই ইতিহাস বা নাটক বোঝাতে বসলে সেই ঘটনার উপর নির্মাণ কোনও নাটক বা সিনেমার দৃশ্যও দেখাতে পারেন। এতে মনে থাকবে বেশি। তবে সাহিত্য নির্ভর হলে তবেই তা দেখাবেন।

#সন্তান যা পড়ছে, সেটা আপনাকে পাল্টা বোঝাতে বলুন। এটা করতে সক্ষম হলে বুঝবেন, পড়া বুঝতে বা মনে রাখতে তার আর সমস্যা হবে না।​

#পড়া বুঝে লিখে ফেলতে বলুন এক বার। লিখে ফেললে সহজেই মনে রাখতে পারবে তা।

#ইতিহাস বা সাহিত্যকে গল্পের ছলে বুঝিয়ে বলুন সন্তানকে। মনে রাখা যায় এমন কিছু কৌশল আছে। যেমন, কোনও কোনও সাল-তারিখ বা বানান, রসায়নের পর্যায় সারণী— এ সব মনে রাখার সহজ কিছু কৌশলগত ফর্মুলা আছে। নেট থেকেও সে সব জানা যায়।

#শিশু একাগ্র না হলে তাকে একটানা পড়াবেন না। সন্তানের ওতেই মনঃসংযোগের ঘাটতি দেখা যায়। বরং পড়ার মাঝে মাঝে ওর পছন্দের কিছু করতে দিন। এতে আনন্দ পাবে, মন ভাল রেখে পড়লে মনে রাখতেও পারবে সহজে।

​#পড়া পারলে এই কিনে দেব, ওই কিনে দেব এ সব লোভ দেখানো ছোট থেকেই বন্ধ করুন। এতে মনঃসংযোগ তো বাড়েই না, উল্টে ওর মধ্যে নিজের দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি দায়বদ্ধতা আসে না। যা করে, তা পুরস্কারের লোভে করে।

RS

Related News