এই সব বাজে খাবার গুলো কে এড়িয়ে চলুন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কে রাখুন দূরে!

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে প্রতিদিন শরীর থেকে মল স্বাভাবিক ভাবে নির্গত হতে পারে না। খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ বা ইচ্ছার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ে। এ সমস্যা ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রে দেখা গেলেও পঞ্চাশের বেশি বয়ষ্ক মানুষের ক্ষেত্রে খুব বেশি দেখা যায়। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। সময়মতো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর না করলে তা কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

১) কাঁচকলা

অনেকেই বলেন, কাঁচকলা শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা কাঁচকলা খেলে ফলাফল একেবারে উল্টো। তবে পাকা কলায় যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার আছে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে।

২) মাংস

(খাসির মাংস বা যে সব মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে)। এই জাতীয় খাবার অন্ত্রে বহুক্ষণ থাকে, হজম হতে সময় লাগে। এই জাতীয় মাংস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

৩) দুধ

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন: পনির, আইসক্রিম ইত্যাদি) কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। আসলে এ ধরনের খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব কম। তবে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় দুধ থাকাটা খুবই জরুরি। হজমে সহায়ক হিসেবে টক দই খাওয়া যেতে পারে।

৪) তেলেভাজা

স্ন্যাকস জাতীয় খাবার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, পটেটো চিপস বা ওই জাতীয় তেলে ভাজা খাবার অন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর। এগুলি অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজে বাধা দেয়। এগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

৫) হিমায়িত খাবার

ঠান্ডায় সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে জল শুকিয়ে ফেলা হয় এবং এই খাবারগুলোতে লবনের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে এ ধরনের খাবারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।

৬) বেকারি পণ্য

বেকারি পণ্য যেমন, বিস্কুট, ক্র্যাকার্স বা পেস্ট্রি জাতীয় খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। শুধু তাই নয় বেকারির খাবারে জলীয় অংশ বা ফাইবারের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।

উপরে উল্লেখিত খাবার-দাবারগুলি এড়িয়ে চললে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে এই সমস্যায় অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

News Desk

Recent Posts

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

4 hours ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

22 hours ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

1 day ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

1 day ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

1 day ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

2 days ago