এই ৬টি ভালো অভ্যাসই আপনার লিভার ভালো এবং সুস্থ রাখতে সাহায্যে করবে!

আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে লিভার। আর লিভারের মারাত্মক অসুখ হচ্ছে লিভার সিরোসিস। এই রোগে লিভার পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে।

প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।কিন্তু খুব সহজেই আমরা এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। সামান্য সতর্কতায় লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। আসুন জেনে নিন তার উপায়।

১) সঠিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস

যে খাবারগুলো সহজে হজম হবে এবং হজমশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর সে ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান ও ফ্যাট যুক্ত তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ব্রকলি, সবুজ শাক, বাঁধাকপি এবং ফুলকপি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ এবং রসুন লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিনকে দেহ থেকে দূর করতে সহায়তা করে এবং লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করে।

২) টিনজাত বা বোতলজাত খাবার

সময়ের অভাব দিনে দিনে প্রিজারভেটিভ যুক্ত এবং কৃত্রিম স্বাদ ও গন্ধযুক্ত টিনজাত বা বোতলজাত খাবার আমরা অত্যাধিক পরিমাণে খাচ্ছি। এই সব প্রিজারভেটিভ যুক্ত এবং কৃত্রিম স্বাদ ও গন্ধযুক্ত টিনজাত খাবার আমাদের লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তাই যতটা সম্ভব এই জাতীয় খাবার কম খান বা সম্ভব হলে বর্জন করুন।

৩) মদ পান ত্যাগ করুন

মদ লিভারকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করে দেওয়ার জন্য দায়ী। সামান্য পরিমান মদ্যপানেও হতে পারে হেপাটাইটিস এবং লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগ। সুতরাং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং এই মরনব্যাধি থেকে দূরে থাকুন।

৪) নিয়মিত সঠিক পরিমাণে জল পান করুন

জল আমাদের লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা জল কম পান করেন তাদের লিভারের নানা সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তাই জল বেশি করে খান। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল পান করুন।

৫) প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষধ নয়

অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ খান। কিন্তু এই অভ্যাস লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের ওষুধ খাবেন না। বিশেষ করে কোনও ব্যথানাশক (পেইন কিলার) ওষুধ। ব্যথানাশক ওষুধে ব্যবহৃত এনজাইম লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ করে দেয়। সুতরাং চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ খাবেন না।

৬) নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম

শারীরিক পরিশ্রম শরীরে মেদ জমার পাশাপাশি লিভারে মেদ জমতে দেয় না। ফলে লিভার আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে মাত্র ২০ মিনিটের শরীরচর্চা লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আমাদের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের মাধ্যমে লিভারের মারাত্মক সমস্যা থেকে দূরে থাকুন।

News Desk

Recent Posts

মুখের ভেতরে ঘা হয়েছে, ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?

মুখের ভেতরে ঘা হওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। ভিটামিন স্বল্পতার কারণেই মাউথ আলসারের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে এই সমস্যাকে…

8 hours ago

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে যেভাবে সাহায্য করে মৌরি

সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…

17 hours ago

এনার্জি পেতে চা-কফির পরিবর্তে অভ্যাস করুন ৬ জিনিসের

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…

17 hours ago

গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ও প্রতিরোধে কী করবেন?

শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ঘরেই দিন-রাতে চলছে ফ্যান বা এসি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়…

19 hours ago

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে

শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে প্রোটিনের বিকল্প নেই। আপনি যদি নির্বিঘ্নে কাজ করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।…

19 hours ago

ঘুমের মধ্যে কিংবা হাঁটতে গিয়ে পেশিতে টান ধরে যে কারণে

পেশিতে টান ধরার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কখনো ঘুমের মধ্যে কিংবা কখনো হাঁটতে গিয়ে বা আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে হঠাৎই পেশি শক্ত…

21 hours ago