মাথার তালু খুব বিরক্তিকরভাবে চুলকোচ্ছে? জেনেনিন সমাধান সম্পর্কে

Written by News Desk

Published on:

লক্ষ করলেই বেশ বুঝতে পারবেন যে, প্রতিটি ঋতুবদলের সময় মাথার ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। খুসকি হয়, চুল বাড়তি তেলতেলে বা রুক্ষ হয়ে যায়, মাথার তালু চুলকোয় বেশি। তবে তার পাশাপাশি ত্বকের কোনও ইনফেকশন হলে সেটা সারানোর ব্যবস্থা করতে হবে – মাথার ত্বকেও সোরিয়াসিস, ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা বিশেষ কোনও কেমিক্যালের প্রভাবে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই তেমন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে। ঋতুবদলের সময়ে যে সমস্যাগুলি বিব্রত করে, তার জন্য অবশ্য কয়েকটি ঘরোয়া সমাধান ট্রাই করে দেখতে পারেন।

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার হচ্ছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটারি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। যদি ত্বকের শুষ্কতাই আপনার মাথা চুলকানোর কারণ হয়, তা হলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর জলের মিশ্রণ দিয়ে নিয়মিত মাথা ধুলেই উপকার পাবেন। সেই সঙ্গে জল খাওয়ার পরিমাণও বাড়ানো প্রয়োজন। সপ্তাহে দু’ দিন শ্যাম্পুর পর এক কাপ জলে এক টেবিলচামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালো করে লাগান। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে।

টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েলও অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপটিক। তা প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল মাথায় লাগাবেন না। আপনার হেয়ার মাস্কে 10-12 ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন, শ্যাম্পুর মধ্যেও মেশানো যায়। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।

নারকেল বা অলিভ অয়েল: কোল্ড প্রেসড নারকেল বা অলিভ তেল। মাথার তালুর ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়ে যায়, তা হলে অনেক সময় চুলকোয়। সেক্ষেত্রে কাজে দেবে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন নারকেল বা অলিভ অয়েলের ম্যাসাজ। চুলে তেল মাখার ঘণ্টাখানেক পর হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে পারেন।

অ্যালো ভেরা জেল: অ্যালো ভেরার পাতার মাঝের নরম শাঁসটুকু বের করে নিন। তার পর আঙুল দিয়ে মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করে 15-20 মিনিট রাখুন। তার পর ঠান্ডা জলে মাথা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’বার এই ট্রিটমেন্ট করতে পারেন।

লেবুর রস: সরাসরি লেবুর রস স্ক্যাল্পে লাগাবেন না কখনও, তবে আপনার তেল, হেয়ার মাস্ক বা প্যাকে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় লাগানো যায় সপ্তাহে দু’-তিনবার। তার পর অবশ্যই শ্যাম্পু করে নেবেন।

মাথার ত্বকের সমস্যা ঠেকাতে চাইলে নিয়ম করে নিজের বালিশের ওয়াড়, চিরুনি, তোয়ালে পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। ডায়েটের দিকে নজর দিন। খাদ্যতালিকায় যেন প্রোটিন আর ক্যালশিয়ামের অভাব না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। বার বার ব্লো ড্রাই বা হিট স্টাইলিং করলে কিন্তু এই সমস্যা আরও বাড়বে। গরমজলে স্নান করবেন না। নতুন কোনও হেয়ারকেয়ার প্রডাক্ট বা ডাই ব্যবহার করার আগে সতর্ক থাকবেন অবশ্যই। এগুলি থেকেও কিন্তু অ্যালার্জি হতে পারে।

Related News