হাজার রকমের রোগ থেকে মুক্তি দেবে কুসুম গরম জল!

Written by News Desk

Published on:

পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ কুসুম গরম জল খেয়ে থাকে। এই কুসুম গরম জল খাওয়ার বেশ উপকারিতা আছে।

তবে আমরা অনেকেই কুসুম গরম জল খাওয়ান উপকারিতা জানিনা। এ জন্য হয়তো খাইওনা। তবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে এই কুসুম গরম জল। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে খেতে পারেন কুসুম গরম জল। কুসুম গরম জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সহজ সমাধান হল কয়েক গ্লাস কুসুম গরম জল।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরম জল খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। পেট পরিষ্কার থাকলে শরীরে কোনো রোগ সহজে বাসা বাঁধতে পারে না।আর পেট পরিষ্কার থাকলে ত্বকও থাকে ঝকঝকে, উজ্জ্বল থাকে। প্রতিদিন সকালে, খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি এক গ্লাস কুসুম গরম জল খান তবে বদহজম, অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়। ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। পেট পরিষ্কার থাকলে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা থেকেও সহজেই দূরে থাকা যায়।

১. খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে যদি এক গ্লাস কুসুম গরম জল খাওয়া যায় তবে অ্যাসিডিটি, বদহজম, অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।

২. আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম জল খেলে পেট সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

৩. কুসুম গরম জল খেলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাটা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পায় এবং ঘাম হয় বেশি। ঘামের সঙ্গে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বের হয়ে যায়।

৪.শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে কুসুম গরম জলর জুড়ি নেই। গরম জল খেলে শরীরের মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং সহজেই অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে।

৫. গরম জল খাওয়ার চাহিদা কমিয়ে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম জল সঙ্গে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে মেদ ঝরবে দ্রুত।

৬. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম জল খেলে শরীরের টক্সিক উপাদানগুলি সহজেই বাইরে বেরিয়ে যাবে ও শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে। আর শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে শিরা, ধমনীতে রক্তচলাচলের গতিও স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।

৭. দীর্ঘদিন ধরে যারা বাতের ব্যথায় ভুগছেন তারা খেতে পারেন গরম জল। গরম জলর সঙ্গে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে ব্যথা বোধও ক্রমশ কমে আসবে।

Related News