হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৭টি খাবার দেখেনিন

অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি হার্ট অ্যাটাকে। হার্টের কোষগুলো যখন কাজ করে না; তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়।

ফ্যাট ও কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে ধমনীতে বাধা সৃষ্টি করে। এভাবেই রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতার কারণে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

একই সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়া বন্ধ না করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়-

>> ভরপেট খাওয়ার পর অনেকেই কোমলপানীয় নেন। প্রতি ১২ আউন্স সোডাজাতীয় পানীয়তে ১০ চা চামচ চিনি পাওয়া যায়! নিয়মিত কোমলপানীয় নিলে ওজন তো বাড়বেই, সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে কৃত্রিম চিনি ক্যান্সার ডেকে আনে।

>> সাদা চাল ও ময়দায় পুষ্টিগুণ কম থাকে। পরিশোধিত এ খাবারগুলো খেলে খিদে আরও বেড়ে যায়। এ ছাড়া স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। প্রসেসিং খাবারে অতিরিক্ত লবণ এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। অন্যদিকে অপরিশোধিত খাবার খেলে রক্তনালীর কার্যকারিতা বেড়ে যায়।

>> প্রক্রিয়াজাত মাংসেও স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লবণ থাকে। সসেজ, হট ডগ ইত্যাদি হার্টের জন্য ভালো নয়। একদিন যদি আপনি প্রক্রিয়াজাত মাংস খেয়ে থাকেন, তবে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৪২ শতাংশ বেড়ে যাবে।

>> খাবারে লবণ কম হলে তা মোটেও সুস্বাদু হয় না। ক্যানের খাবারগুলোয় সবচেয়ে বেশি লবণ থাকে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অত্যধিক লবণ খেলে রক্তনালীগুলো ক্রমশ সংকুচিত হয়ে যায়।

>> বর্তমানে আমাদের ফাস্টফুড ছাড়া একদিনও চলে না। বিকেল হলেই সবার মধ্যে ফাস্টফুড খাওয়ার নেশা বেড়ে যায়। চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, উচ্চ কোলেস্টেরল, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে ফাস্টফুডে। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ফাস্টফুড, এটি সবাই জানলেও মানেন না।

>> পিৎজা খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করেন। তবে হার্টের জন্য মোটেও ভালো নয় খাবারটি। হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে পিৎজায় থাকা ফ্যাট, লবণ ও প্রক্রিয়াজাত মাংস। প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এতে।

>> ফাস্টফুডের মতো আইসক্রিমের নেশাও রয়েছে অনেকের। এ খাবারও ছোট-বড় সবার পছন্দের। বিশেষ করে গরমে আইসক্রিমের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। পরিশোধিত চিনি থাকে আইক্রিমে, যা হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী। এ ছাড়া আইসক্রিমে রয়েছে ফ্যাটযুক্ত দুধ, কোলেস্টেরল, যা খেলে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা বাড়ে।

নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চা করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।

News Desk

Recent Posts

আমলকীর চা খেলে কী হয়?

ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো আমলকী। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রেও এটি…

3 mins ago

শব্দদূষণে বাড়ে হৃদরোগ-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, বলছে গবেষণা

গাড়ির আওয়াজে অনেকেরই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, তীব্র যানজট ও সেই কারণে সৃষ্ট শব্দদূষণের সঙ্গে…

14 hours ago

হার্টের ধমনী ব্লক হয়েছে কি না জানাবে ৪ লক্ষণ

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত হলো হৃৎপিণ্ড। এটি মানুষের জীবদ্দশায় কখনো বিশ্রাম নেয় না। দিনে অন্তত এক লাখ বার…

19 hours ago

গরমে ‘এনার্জি বুস্টার’ হিসেবে কোন খাবার খাবেন?

গরমে ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ। তাই এ সময় ত্বকের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন, না হলে ত্বক হারায় উজ্জ্বলতা ও সতেজতা।…

19 hours ago

এই গরমে পটল খাওয়ার ৭ উপকারিতা

পটলের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিঁটকায়। আবার অনেকেই আছেন, যারা ভাজা হোক বা ভর্তা, পটল খেতে ভালবাসেন। যারা নিয়মিত পটলের…

20 hours ago

জেনে নিন খাবার স্যালাইনের সঠিক ব্যবহার

ডায়রিয়া, কলেরা, বমি, আমাশয়, পাতলা পায়খানা, অতিরিক্ত ঘাম বা অন্য যে কোনো কারণঘটিত পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন বা ওরাল স্যালাইন…

23 hours ago