সারাদিন বসে অফিসে কাজ করা, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ভুলভাল ডায়েট, শরীরচর্চা না করা, হাঁটার অভ্যাস না থাকাসহ এমন আরও অনেক কারণে বেড়ে যেতে পারে পেটের মেদ। হ্যান্ডসাম দেখতে অথচ পেটের কাছে গোলগাল একটা ভূঁড়ি , আপনার স্মার্টনেস নষ্ট করতে যথেষ্ট। শুধু দেখতে ভালোলাগবে বলেই নয়, নিজের সুস্থতার জন্যও পেটের মেদ দূর করা জরুরি।
পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। তবে যদি অত সময় নাও পান, অথচ কিছু কৌশল মানেন, তাহলেও মেদ দূর করা যায়। সেজন্য খুব বেশি নয়, দুই-এক মিনিট সময় দিলেই তা মেদ ঝরানোর পক্ষে যথেষ্ট।
পেট ও কোমরের কোর মাসলকে শক্তিশালী করে তুলতে প্লাঙ্কের জবাব নেই। কিন্তু তার মানেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা নানারকম শরীরচর্চায় ডুবে থাকতে হবে এমন নয়। বরং অফিস থেকে ফিরে প্লাঙ্কের জন্য রাখুন মিনিটখানেক সময়। কিন্তু কেমন করে করবেন এমন প্লাঙ্ক? প্রথম দিকে অনভ্যস্ত শরীরে হাতের কনুই পর্যন্ত মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে প্লাঙ্ক করুন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে হাতের পাতা ও পায়ের পাতা মাটিতে রেখে বাকি শরীরটা শূন্যে তুলে প্লাঙ্ক করুন।
ক্রাঞ্চ ও সিটআপে যতটা না উপকার হয়, তার চেয়ে আরও কয়েক গুণ বেশি উপকার হয় নির্দিষ্ট কয়েকটি প্ল্যাঙ্ক অভ্যাস করলে। ভুঁড়ি কমানোর জন্য তাই প্ল্যাঙ্ক অব্যর্থ। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর সাইড প্লাঙ্ক।
এটি নিয়মিত অভ্যাসের ফলে পেট ও কোমরের কোর মাসলের শক্তি বাড়়ে। পেশী টানটান হয়, সঙ্গে মেদ জমে থাকার অবকাশও পায় না। শরীরকে টোনড করে রাখতে হলে এই ধরনের প্লাঙ্ক খুবই কার্যকরী। এই জাতীয় প্লাঙ্ক এক্সারসাইজ আসলে মেরুদণ্ডের ভিতরের পেশীগুলোর জোর বাড়ায় ও শক্তপোক্ত করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
প্রথমেই এক-দুই মিনিট ধরে রাখতে পারবেন না প্লাঙ্ক। অনভ্যস্ত শরীর হলে ১০ সেকেন্ড, ২০ সেকেন্ড করে ঘড়ি ধরে ছোট ছোট টার্গেটে ভাগ করে নিন সময়সীমা।
প্রথম কয়েক দিন ১০ সেকেন্ড ধরে থাকুন। শরীরে সয়ে এলে তা বাড়িয়ে ২০ সেকেন্ড করুন। ধীরে ধীরে এভাবে সময় বাড়ান। এক মিনিট টানা এমন প্লাঙ্ক ধরে রাখতে পারলে বুঝবেন, শরীর প্লাঙ্কের জন্য যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনই মেদও কমছে ধীরে ধীরে। ওজনপাল্লায় দাঁড়ালেই এই দিনকয়েকের তফাত বুঝবেন।
সাইড প্ল্যাঙ্ক করার সময় এক হাত আর এক পা মাটিতে রাখবেন। অন্য হাত তুলে দিন উপরে, একটি পায়ের উপর অন্যটি থাকবে। যতক্ষণ পারেন তা ধরে রেখে হাত ও পা বদল করুন।
প্লাঙ্কের সময় পেট ভিতর দিকে টেনে রাখতে পারলে আরও উপকার পাবেন। তবে এটি করার আগে ট্রেনারের পরামর্শ ও সাহায্য নিয়ে করবেন। শরীরের ক্যালোরি এতে বেশি বার্ন হবে।
তবে প্লাঙ্ক করলেই হবে না। তার জন্য কিছু সতর্কতাও মেনে চলতে হয় বইকি। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সাইড প্লাঙ্ক করার সময় শরীরের গড়ন ও পজিশনের উপর খেয়াল রাখুন। প্লাঙ্কের সময় শরীর যেন ভূমিতলের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে থাকে। ভুলবশত কোমর উঁচু হয়ে থাকলে সেখানে বাড়তি চাপ পড়বে। সেক্ষেত্রে কোমরের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে ।
গরম আবহাওয়ায় ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। তবে শীতেও অতিরিক্ত ঘাম কিন্তু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবেও…
শরীরে কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে কি না, তার ইঙ্গিত আগে থেকেই দেয় শরীর। তবে অনেকেই তা টের পান না, আবার…
পানির অপর নাম জীবন। দৈনিক পর্যাপ্ত পানি না পান করলে শরীরে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। যা শারীরিক বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।…
সকালের নাস্তা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর উপরই সারাদিন শরীরের শক্তি নির্ভর করে। সকালে পুষ্টিকর খাবারে পেট ভরালে সারাদিন অ্যানার্জি…
ওজন কমাতে চাইলে পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর রাখতে হবে। এর পাশাপাশি শরীরচর্চাও জরুরি। তবে ওজন কমাতে খাবার ৭০ শতাংশ আর…
গরমে হাঁসফাঁস করছে সবাই। এমন তাপপ্রবাহের মধ্যে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অনেকেই নানা ধরনের পানীয়ে চুমুক দিচ্ছে। তবে কোমল পানীয় থেকে…