একদিকে যেমন বাড়িতে বসে অফিসের কাজ আর বাড়ির কাজ, অন্যদিকে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে চিন্তা। পুরো বিশ্বের চিত্রই এখন মোটামুটি এক। এই বিপদ কবে কাটবে তা কেউ জানে না। এরকম অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখা ভীষণ জরুরি। একঘেয়েমি আসতে দেয়া যাবে না কোনোভাবেই। সুস্থ থাকতে চাইলে মেনে চলতে হবে এই নিয়মগুলো-
ভোরে উঠুন: অফিস নেই বলে বেলা পর্যন্ত বিছানায় পড়ে থাকবেন না। চেষ্টা করুন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়তে। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
প্রকৃতির কাছে থাকুন: বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না বলে যে প্রকৃতি থেকে দূরে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নিন, খোলা বাতাস লাগবে শরীরে। সকালের রোদে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে যা এই গৃহবন্দি অবস্থায় আপনার খুব দরকার। গাছ থাকলে তার যত্ন করুন। মন অনেক হালকা আর তরতাজা থাকবে।
যোগব্যায়াম: নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে তা আপনার শরীরকে নমনীয় রাখে, ব্যথা-বেদনার অনুভূতি কমায়, মানসিক তৎপরতাও বাড়িয়ে দেয়। সহজ কিছু যোগব্যায়াম নিয়ম করে করুন। মন শান্ত আর মস্তিষ্ক ক্ষুরধার রাখতে প্রতিদিন আধঘণ্টা মেডিটেশনও করতে পারেন।
সঠিক খাবার: এমন খাবার খান, যাতে শরীর সঠিক পুষ্টি পায়। প্রতিদিনের খাবারে যেন দানাশস্য, শাকসবজি আর যে কোনো একটা ফল থাকে। বাদাম, কিশমিশ বা সিডস জাতীয় খাবার স্ন্যাকস হিসেবে খান। কমিয়ে আনুন চা বা কফি খাওয়ার অভ্যেস। আর হ্যাঁ, বাড়িতে আছেন বলেই সকালের খাবার কোনোভাবেই বাদ দেবেন না।
মাসে একদিন রোজা/উপোস: সবকিছুর মতো আমাদের পাচনতন্ত্রেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। মাসে একটা দিন পারলে রোজা রেখে বা উপোস করে দেখুন। সন্ধ্যায় ভাত-রুটি-মাছ-মাংসের মতো আইটেমগুলোর বদলে ফল, শাকসবজির স্টু, সাবুর মতো হালকা খাবার খেতে পারেন। এসব খাবার হজম করা সহজ, পুষ্টিও ভরপুর!
মশলা: হলুদ, জিরা, মৌরি শুধু যে রান্নার স্বাদ বাড়ায় তাই নয়, শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতেও এ সব মশলার ভূমিকা রয়েছে। রান্নায় এ সব মশলা ব্যবহার করুন, শরীর চাঙ্গা থাকবে।