এ বছরের জনপ্রিয় ৫টি ডায়েট ট্রেন্ড, জেনেনিন অবশ্যই

ওজন কমাতে সঠিক ডায়েটের বিকল্প নেই। শুধু খাওয়া কমিয়েই নয়, বরং পুষ্টিকর খাবার ও সঠিক খাদ্যাভাসের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানো সম্ভব। এজন্য বিজ্ঞানসম্মত ও কার্যকরী ডায়েট অনুসরণ করতে হয়।

এ কাণেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনরা ২০২১ সালে বিভিন্ন ডায়েট অনুসরণ করেছেন। কেউ ওজন কমাতে আবার কেউ সুস্বাস্থ্যের কারণে। সে হিসেবে বেশ কয়েকটি ডায়েট পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, জেনে নিন তেমনই ৫ ডায়েট সম্পর্কে-

কেটো ডায়েট

২০২১ সালে কেটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুণ। এই ডায়েটের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে ভালো চর্বিজাতীয় খাবার খেতে হয়। ভালো চর্বিজাতীয় খাবার শরীরকে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে চর্বি পোড়াতে উত্সাহিত করে। ফলে ওজন হ্রাস করে।

কেটো ডায়েট অনুসারীরা সাধারণত প্রোটিন ও চর্বি খান। এক্ষেত্রে শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রোটিন শরীরের জন্য ভালো ও এটি পেশি তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।

এই ডায়েট অনুসরণ করে কয়েক মাসের মধ্যেই শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন এই ডায়েট অনুসরণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইমিউন সিস্টেম সাপোর্ট ডায়েট

আরেকটি হলো, ইমিউন সিস্টেম সাপোর্ট ডায়েট। বিগত ২ বছর ধরে এ ডায়েটের প্রতি অনেকে ঝুঁকেছেন। বিশেষ করে যাদের ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল তাদের জন্য কার্যকরী এ ডায়েট পদ্ধতি এটি। এক্ষেত্রে ফল, সবজি ও বিভিন্ন খাদ্যশস্য সুপারিশ করা হয়।

প্যালিও ডায়েট

প্যালিও ডায়েটটি নতুন নয়, তবে এটি ২০২০ সাল থেকে এখনো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্যালিও ডায়েট প্রাকৃতিক খাবার যেমন- তাজা ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম ইত্যাদি খাওয়ার ওপর জোর দেয়।

অন্যদিকে আধুনিক প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো বর্জন করার কথা বলা হয়। একই সঙ্গে, এটি শস্য, দুগ্ধজাত খাবার, লবণ, প্রক্রিয়াজাত ফ্যাট ও চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে যেতে হয়।

ইন্টারমিটিং ফাস্টিং

বর্তমানে ইন্টারমিটিং ফাস্টিং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুন কার্যকরী ও বিজ্ঞানসম্মত এক ডায়েট পদ্ধতি। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত ওজন কমানো যায়।

এই ডায়েট অনুসরণকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থেকে বাকি ৮ ঘণ্টা খাওয়ার অনুমতি পায়। এক্ষেত্রে রাতের খাবার যদি সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে খেয়ে নেন, তাহলে পরের দিন দুপুর ১টার দিকে উপবাস ভাঙতে পারবেন।

ড্যাশ ডায়েট

ড্যাশ ডায়েট হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এই ডায়েট অনুসরণ করলে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ হয়। ড্যাশ ডায়েট হলো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের খাদ্যতালিকাগত পদ্ধতি। ২০২১ সালে হৃদরোগীদের মধ্যে এ ডায়েটের জনপ্রিয়তা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে।

News Desk

Recent Posts

সুস্থ থাকতে সকালে খালি পেটে যা খাবেন

শরীর সুস্থ রাখতে কতজনই না কতকিছু করেন! অনেকেই ওজন কমাতে না খেয়ে দিন কাটান কিংবা রাত-দিন শরীরচর্চা করেন! তবে সুস্থ…

4 mins ago

গরমে খেজুর খেলে শরীরে যা ঘটে

গরমে শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন ফলজাতীয় খাবার খেতে। এগুলো একদিকে যেমন শরীর হাইড্রেট করে, তেমনই অন্যদিকে…

39 mins ago

স্ত্রীর যে ৪ অভ্যাসে স্বামীরা রেগে যান

সব দম্পতিদের মধ্যেই মনোমালিন্য ও ঝগড়াঝাটি হয়। তবে কার দোষ সেটি বিবেচনা করতে গেলে আবারও অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। তাই…

55 mins ago

ভুঁড়ির নিচে হতে পারে টিউমার, যে লক্ষণে সতর্ক হবেন

পেটে অতিরিক্ত মেদ জমার কারণে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। যার মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। তবে জানলে অবাক হবেন,…

2 hours ago

লেন্স পরার সময় যে ভুলে হয় চোখ নষ্ট

বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে চোখে লেন্স পরার প্রবণতা বাড়ছে। ফ্যাশনে এখন নানা রঙের চোখের লেন্স না হলে যেন সাজ অসম্পূর্ণ থেকে…

2 hours ago

দ্রুত ওজন কমাতে যেভাবে ভুট্টা খাবেন

ওজন কমানোর কথা যারা ভাবছেন, তাদের উচিত ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া। এজন্য উচ্চ মাত্রায় যারা নিয়মিত ডায়েট বা শরীরচর্চা করছেন;…

3 hours ago