এই সময় নিয়মিত সকালে উঠে আদা-রসুন চা খেলে ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা, অস্টিও আর্থ্রারাইটিস, স্থুলতাসহ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। হজম হবে দ্রুত। কারণ, আদা আর রসুনে আছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরকে বিষমুক্ত করে।
ভেষজ চা ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা কমায়। আপনি প্রতিদিন ভেষজ চা পান করতে পারেন, তবে তাতেও যদি উপসর্গ না কমে যবে চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। আদা এবং রসুন দিয়ে বানানো চা পানে শরীর সুস্থ থাকে।
ডি কে পাবলিশিং হাউজের ‘হিলিং ফুডস’ বই অনুসারে আদায় আছে উদ্বায়ী তেল। যা এনএসএআইডি (অ-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ) এর মতো অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি ফ্লু, মাথাব্যথা এবং ঋতুস্রাবের ব্যথার জন্য দারুণ উপকারী। অস্টিও আর্থারাইটিসের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
রসুনে রয়েছে উচ্চমাত্রায় সালফার যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিপ্যারাসিটিক। তাই ঠান্ডা লাগা এবং কাশির লক্ষণগুলি এটি খেলে সহজে কমে। তবে হাঁপানি রোগীদের রসুন খাওয়া ঠিক নয়।
আপনার পাচনতন্ত্রকে ভালো রাখতে আদা খুব কার্যকর। আদা অন্ত্র নিরাময়ে সহায়তা করে, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের মাধ্যমে খাদ্য চলাচলকে দ্রুততর করে, ফোলাভাব এবং কৃমিকে হ্রাস করে এবং পাচক রসের ক্ষরণ বাড়ায়। আর দ্রুত হজম মানেই ওজন হ্রাস।
রসুন শরীরে জমে থাকা বিষ বের করে দেয়। হজমশক্তি বাড়ায়। ক্ষুধা কমায়। জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলছে, রসুন ক্যালোরি বার্ন করে ওজন ঝরায়।
আদা-রসুনের চা তৈরি করবেন যেভাবে:
একটি পাত্রে এককাপ জল গরম করে নিন। খোসা ছাড়ানো আদা ছোট টুকরো দিন তাতে। এরপর ১ চা-চামচ কুচানো রসুন, আধা চা চামচ গোল মরিচ দিয়ে ফোটান। এবার ছেঁকে নিয়ে আধ চা-চামচ মধু মিশিয়ে গরম গরম পান করুন প্রতিদিন সকালে।