পেঁপেতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম এবং কপার। যা নানাভাবে শরীরের যেমন উপকারে লেগে থাকে, তেমনি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বাস্তবিকই পেঁপের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপের উপকারি উপাদানসমূহ ত্বকের গভীরে প্রবেশ করার পর কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ত্বক ফর্সা হয়ে ওঠে, তেমনি স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। নিয়মিত পেঁপে দিয়ে বানানো ফেসপ্যাকের সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা করলে মেলে আরও অনের উপকার।
ত্বকে আর্দ্রতা কমতে থাকলে সৌন্দর্য কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতেও সময় লাগে না। এক্ষেত্রে ১ চামচ পেঁপে নিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রণটা মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে মিশ্রণটি।
স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে বহু মানুষের ত্বকই অসময়ে বুড়িয়ে যাচ্ছে। ৩০-এর পরেও যদি অপূর্ব সুন্দরী থাকতে চান, তাহলে ত্বকের পরিচর্যায় পেঁপেকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে পরিমাণমতো পেঁপে নিয়ে ভালো করে মুখে লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে চাইলে আধ কাপ পেঁপে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। হলকা গরম জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। চোখের কালি তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে ত্বকের সার্বিক সৌন্দর্যতাও বৃদ্ধি পাবে।
গরমের সময় মাত্রাত্রিরিক্ত তাপের কারণে ত্বকের পুড়ে যাওয়াটা বেজায় স্বাভাবিক ঘটনা। এক্ষেত্রে চার কাপ পেঁপে নিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিয়মিত পেঁপের সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা করলে ত্বকে বিশেষ কিছু উপকারী এনজাইমের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে ব্রণের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই সুস্থ ও সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে পেঁপের ব্যবহার করতে পারেন।