কী করলে চুল পড়া বন্ধ হয়? জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

প্রতিদিন যে পরিমাণ চুল ঝরে, জৈবিক নিয়মে সে পরিমাণ চুলই গজায়। কিন্তু এই অনুপাত সবসময় সমান থাকে না। চুল গজানোর চেয়ে ঝরে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলেই বিপত্তি আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ৮০-১০০টি চুল ঝরে। গজানোর কথাও ততগুলিই। কিন্তু মানুষের মাথার ত্বকের ধরন, আবহাওয়া, চুলের প্রকৃতি, যত্ন ও কোনো রকম অ্যালার্জি আছে কি না এসবকিছুর উপর নির্ভর করে কার চুল কত বেশি বা কম ঝরবে। চুল গজানোর চেয়ে ঝরে যাওয়ার সংখ্যা বেশি হতে হতেই এক সময় টাকের সমস্যা দেখা যায়।

নিয়মিত চুলের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আরও কিছু বিষয়ে। সমাধান খুঁজতে হবে কিছু সমস্যারও। চলুন জেনে নেয়া যাক-

শরীরে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া বাসা বাঁধলেও চুলের ক্ষতি হয়। তাই অ্যানিমিয়া সামলানোর ওষুধ শুরু করতে দেরি করবেন না। প্রয়োজনীয় পথ্য ও ওষুধ নিলে চুলের স্বাস্থ্যও ফিরবে ও অকালে টাক পড়া কমবে।

মাথার ত্বকে কোনো অ্যালার্জি বা সংক্রমণ থাকলে অযত্ন করবেন না। অনেকেরই মাথার ত্বক থেকে মাছের আঁশের মতো খোসা ওঠে, অতিরিক্ত চুলকায়, ফুসকুড়ি দেখা যায়। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ভিটামিন বি-এর অভাব, ডায়েটে পরিমাণ মতো শাক-সবজি ও ভিটামিন সি না থাকাও চুল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি যোগ করুন। এতে চুলের স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটবে।

ঠিক সময় খাওয়াদাওয়া বা ঘুম না হলে তার ছাপ পড়ে মনের স্বাস্থ্যের উপর। যে কোনো বিষয়ে খুব বেশি চিন্তা বা উদ্বেগও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। চুলের রঞ্জক পদার্থ কমে গিয়ে চুল পেকে যাওয়া থেকে চুলের গোড়া পাতলা হয়ে যাওয়া- সবকিছুর নেপথ্যে মানসিক চাপ অন্যতম কারণ।

Related News