পালংশাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, জেনেনিন আরো কিছু তথ্য

Written by News Desk

Published on:

চোখজুড়ানো গাঢ় সবুজ রঙের শাক। ভীষণ পুষ্টিকর শাক হিসেবেও পরিচিত এটি। বলছি পালংশাকের কথা।
এতে আছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে। খুব কম ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং বিটা ক্যারোটিনয়েড থাকে এই শাকে।

বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বরাবরই পালংশাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি সহজ এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। যদি মনে করেন, এটি কেবল দৃষ্টিশক্তির উপকার করে, তাহলে ভুল ভাবছেন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একটি সেরা খাবার। নিয়মিত পালংশাক খেলে আপনার আলাদা করে আর কোনো সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এটি আপনাকে ভেতর থেকেই সতেজ রাখবে।

পাল শাক পেশী গঠনে সাহায্য করে। এটি ফোলেট, আয়রন এবং লুটিনসহ পুষ্টিকর ভিটামিন এবং খনিজ দিয়ে ভরা। এটি উদ্ভিদ-ভিত্তিক ওমেগা ৩-এর একটি দুর্দান্ত উৎস। পালংশাকে প্রাকৃতিক রাসায়নিককেরও স্বাস্থ্যকর ডোজ ফাইটোনিট্রিয়েন্টস রয়েছে যা প্রদাহ দূর করে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য উপকারী জীবাণুদেররক্ষা করতে সাহায্য করে। কাঁচা পালংশাক পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

কেবল শাক হিসেবে রান্না করে খেলে পালংশাক প্রতিদিন খেতে ভালো নাও লাগতে পারে। তাই শুধু শাক হিসেবে নয়, সুস্থ থাকার জন্য পালংশাক খাওয়ার রয়েছে আরও অনেক উপায়। জেনে নিন তেমনই কিছু পদ্ধতির কথা-

স্পিনাচ স্মুদি
দিনের প্রথম খাবার হিসাবে স্মুদি অন্যতম সেরা উপায়। যখন অল্প সময়ে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থযুক্ত খাবার খেতে চান তখন পালংশাকে স্মুদি একটি সহজ সমাধান। এটি দিনভর আপনাকে সতেজ ও শক্তিতে ভরপুর রাখবে। সঙ্গে মেশাতে পারেন কিছু বাদাম। এতে করে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে দ্বিগুণ গতিতে।

ডিমের সঙ্গে
ডিমও একটি পুষ্টিকর খাবার এবং অসুস্থ ব্যক্তির খাবারের তালিকায় ডিম রাখতে দেখা যায়। এর কারণ হলো এটি দ্রুত শক্তি জোগায়। যে কারণে সুস্থতাও মেলে দ্রুত। প্রতিদিন যদি ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে সেই ডিমের সঙ্গে একমুঠো পালংশাকও যোগ করুন। প্রতি কাপ পালংশাকে মাত্র সাত ক্যালোরি থাকে, তাই ডিমের সঙ্গে পালংশাক যোগ করে খেলে তা বাড়তি ক্যালোরি যোগ করবে না তবে পুষ্টি দেবে অনেকটাই। এটি ক্ষুধা দূর করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

ডালের সঙ্গে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর আরেকটি ভালো উপায় হলো ডালের সঙ্গে পালংশাক মিশিয়ে রেঁধে ফেলা। এটি বেশ সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। মসুরের দস্তা, আয়রন এবং লিম্ফোসাইটের সঙ্গে পালংশাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অতিরিক্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করবে। এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে আপনি ডাল আর পালং মিশিয়ে স্যুপের মতো রাঁধতে পারেন।

পালং পনির
এটি ভারতে বেশ জনপ্রিয় খাবার। পরিপূর্ণ পুষ্টি পেতে চাইলে এই সুস্বাদু খাবারটি রান্না করে খান। স্বাস্থ্যকর উপায়ে পালংশাক খেলে তা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। পালং পনির হতে পারে সেই স্বাস্থ্যকর উপায়।RS

যদিও বিভিন্নরকম শাক সুস্থ থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তবুও যেকোনো একটি শাকে আটকে থাকবেন না। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানারকম শাক রাখুন পাতে। পাশাপাশি অসুস্থতা এড়াতে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা, জাঙ্ক ফুড এড়ানো এবং স্ট্রেস দূরে রাখা এমন অতিরিক্ত কিছু কাজ করতে পারেন।

Related News