ওজন না কমার একটি বড় কারণ কিন্তু এই বারেবারে ক্ষুধা পাওয়া। কারণ ক্ষুধা পেলেই আপনি ঝটপট কিছু একটা মুখে পুড়ে দিচ্ছেন, এতে করে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হচ্ছে শরীরে। ওজন তো বাড়বেই! ক্ষুধা পেলে খাবার খাওয়া স্বাভাবিকি, কিন্তু বারেবারে ক্ষুধা পেলেই খাওয়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। কারণ ওজন একবার বাড়তে শুরু করলে সঙ্গে করে ডেকে আনবে আরও অনেক রোগও। সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, খাবারের মোট ক্যালোরির ২৫ শতাংশ প্রোটিন থেকে এলে ভুলভাল খাবার খাওয়ার প্রবণতা প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যায়। তাই প্রতিবেলার খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষুধা পেলেই জাঙ্ক ফুড না খেয়ে কিছুটা জল পান করতে পারেন। তাতে ক্ষুধা কিছুটা দূর হবে।
ক্ষুধা থেকে দূরে থাকতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে সুগার ফ্রি চিউয়িং গাম। এটি মুখে রাখতে পারেন। সারাক্ষণ চিবুলে খাবারের প্রতি আসক্তি কমে, সেই সঙ্গে মুখের দুপাশের ফ্যাটও কমে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে জল পান করুন।দিনে অন্তত ৪ লিটার জল পান করুন।
খেয়াল করে দেখুন ঘুম ভালো হচ্ছে কি-না। চেষ্টা করুন ভালো ঘুমের। কারণ ঘুম কম হলে ক্ষুধা বেশি পায়। তখন মুখরোচক সব খাবার খেতে ইচ্ছে করে। মানসিক চাপও অনেক সময় ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। কারণ তখন খাওয়ার রুচি ঠিকভাবে কাজ করে না। আর তাই মানসিক কোনো চাপে থাকলে নিজের কোনো পছন্দের কাজ করুন। আড্ডা দিন। খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হোন।
পুষ্টিবিদদের মতে, কোনো খাবারের বদলে কি খাবেন তা জানা খুব জরুরি। যেমন খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে। সেই সময় যদি জল পান করেন তাতে কিন্তু সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সেই সময় যদি একটু মিষ্টি খান তাহলে মস্তিষ্কের উদ্দীপনা কমবে আর শরীরও ভালো থাকবে। যে কারণ মাঝে মধ্যে কিছুটা মিষ্টি সুগারের রোগীদেরও খেতে বলা হয়।
চিপস খেতে ইচ্ছে করলে একটা কি দুটো কাজুবাদাম খান। আখরোট খেতে পারেন। বড়জোর পপকর্ন খেতে পারেন।
চকোলেট খেতে ইচ্ছা তো করবেই। তবে মিল্ক চকোলেটের বদলে খান ৭০ শতাংশ ডার্ক চকোলেট। আমন্ড চকোলেট খেতে পারলে বেশি ভালো। পেস্ট্রির বদলে ফল খান। চাইলে ড্রাই ফ্রুটসও খেতে পারেন। প্রয়োজনে ফলের রস খান। এড়িয়ে চলুন অস্বাস্থ্যকর খাবার।RS
হাতের সামনে শুকনো মুড়ি, ফল, বিস্কুট রাখুন। ক্ষুধা পেলে তাই খান। ফলের রস, জল এসব পান করুন। পেট ভরা থাকলে অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করবে না। কাজ ছাড়া অলস বসে থাকবেন না। অলস সময় কাটালে ক্ষুধা বেশি পাবে।
তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে…
গরমে সুস্থ থাকতে কমবেশি সবারই উচিত ডাবের পানি পান করা। কারণ এ সময় ডিহাইড্রেশনের হার বেড়ে যায়। তবে এই গরমে…
অনেকেই বাথরুমে টুথব্রাশ রেখে দেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমে টুথব্রাশ না রাখাই ভালো, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বাসা বাঁধতে…
দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান। তবে এই ঘুম কি…
নিজেকে ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। প্রতিদিনই কমবেশি সবাই কিছু না কিছু সাফল্য আসে দৈনন্দিন…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…