পুষ্টির অভাবে বিষণ্ণতা দেখা দেয় কি? জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তবে এই পুষ্টিকর খাদ্য শুধুই শারীরিক সুস্থতার জন্য নয়, মানসিক সুস্থতার জন্যেও প্রয়োজন। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য ও বিষণ্ণতা দেখা দেওয়া ও না দেওয়াও নির্ভর করে শরীরে পুষ্টির উপস্থিতি ও ঘাটতির উপর। বিষণ্ণতার হাজারো কারণ থাকতেই পারে। তবে পরোক্ষভাবে হলেও বিষণ্ণতার পেছনেও রয়েছে অপুষ্টিজনিত সমস্যাটি।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
শরীরে ওমেগা-৩ আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের ঘাটতি দেখা দেওয়া থেকে বিষণ্ণতা দেখা দেয়। তৈলাক্ত মাছ, ডিম, বিভিন্ন ধরণের বাদাম থেকে প্রাকৃতিক এই পুষ্টি উপাদানটি পাওয়া যায়। ওমেগা-৩ এর অভাবে শুধু বিষণ্ণতাই নয়, মনোযোগের অভাব ও স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়।

ভিটামিন-ডি
অনেকে চিকিৎসকই ভিটামিন-ডি এর অভাবকে ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা বলে মনে করেন না। অথচ শরীরে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতির ফলে শারীরিক সমস্যার সঙ্গেই দেখা দিতে পারে বিষণ্ণতা , ডিমেনশিয়া ও মানসিক অসামঞ্জস্যতার সমস্যা। বেশিরভাগ সময় শীতকাল ভিটামিন-ডি এর অভাব দেখা দেয়। কারণ ভিটামিন-ডি এর অন্যতম প্রধান উৎস হলো সূর্যের আলো।

ভিটামিন- বি কমপ্লেক্স
ভিটামিন-বি সমূহের ভেতর ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন বি১২ এক মাঝে বেশ কিছু মেডিকেল উপকারিতা রয়েছে। এই উপকারিতার ভেতর হৃদযন্ত্রের সমস্যা, সুস্থ ত্বক ও নখ এবং মানসিক সুস্থতাও রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এই ভিটামিনের অভাবে মানসিক বিষণ্ণতা ও অস্থিরতা বোধ দেখা দেয়। তবে পুরুষদের চাইতে নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।

অ্যামিনো অ্যাসিড
অ্যামিনো অ্যাসিডকে বিল্ডিং ব্লক হিসেবে অবিহিত করা হয়। কারণ অ্যামিনো অ্যাসিডে থাকা প্রোটিন মনকে স্বাভাবিক রাখতে ও পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। শরীরে অ্যামিনো অ্যাসিডের অভাবে মাথা ঘোরানো, আন-ফোকাসড ভাব এবং সকল কাজে নিরুৎসাহ কাজ করে। এই নিরুৎসাহিত ভাব থেকে বিষণ্ণতা কাজ করে।

আয়রন
নারীদের মাঝে আয়রণের ঘাটতি খুবই কমন। অন্তত পক্ষে ২০ শতাংশ নারী ও ৫০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর শরীরে আয়রনের ঘাটতি পাওয়া যায়। আয়রনের ঘাটতির ফলে রক্তে প্লেটলেট কমে যাওয়ার সাইড ইফেক্ট হিসেবে দুর্বলতা, মনোযোগের ঘাটতি ও মন খারাপ ভাব বা বিষণ্ণতাবোধ কাজ করে।

RS

Related News