কীভাবে দূর হবে চুলের আগা ফাটার সমস্যা? জেনেনিন কিছু টিপস

Written by News Desk

Published on:

চুলের বেশ ঝামেলাপূর্ণ একটি সমস্যা হলো চুলের আগা ফেটে যাওয়া।
নিয়মিত ট্রিমিং করা হলেও চুলের আগা ফেটে যায়। যা সম্পূর্ণ চুলের সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে দেয়। এমনকি চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যায় চুলের বৃদ্ধির হারও কমে যায় অনেকখানি।

নানান কারণেই চুলের আগা ফাটার সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। তার মাঝে প্রধান কয়েকটি কারণ হলো-

১. চুলে অতিরিক্ত গরম তাপমাত্রার ব্যবহার।

২. ঘনঘন চুল ধোয়া।

৩. হেয়ার প্রোডাক্ট ও কেমিক্যালযুক্ত কসমেটিক্সের অতিরিক্ত ব্যবহার।

৪. নিয়মিত তেল ব্যবহার না করা।

৫. গরম জলে চুল ধোয়া।

৬. চুলে কালার করা।

৭. ক্লোরিনযুক্ত জলে সাঁতার কাঁটা (সুইমিং পুল)।

এছাড়াও পুষ্টিজনিত সমস্যার কারণেও চুলের আগা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপরিউক্ত কারণগুলোর ফলেই এই সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তিনটি উপকারী ও প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারে সমস্যাটিকে দূর করা যাবে সহজেই।

মধুর ব্যবহার
ত্বক ও চুলের জন্য মধু ‘হিলিং প্রপার্টি’ হিসেবে কাজ করে। মধুতে থাকা হিউমেকট্যান্ট আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। ফলে ত্বক ও চুল শুষ্ক হতে পারে না। একদিন পর পর চুলের আগায় মশুর প্রলেপ ব্যবহারে চুলের আগা ফাটার সমস্যা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া চুলের গোড়াতেও মধ্য ব্যবহার করা যাবে। মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বককে সুস্থ ও খুশকিমুক্ত রাখবে।

চুলে শুধু মধুর ব্যবহারে স্টিকি ভাব তৈরি হবে। সে কারণে মধুর সঙ্গে টকদই, অলিভ অয়েল ও ডিমের কুসুম (ঐচ্ছিক) মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। এই হেয়ার প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। চুলে ম্যাসেজ করার আধা ঘন্টা পর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

অ্যালোভেরা
চুলের যেকোন সমস্যায় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের তুলনা নেই। শুষ্ক চুলের সমস্যা দূর করতে, মাথার ত্বকের সমস্যা কমাতে এবং চুলের আগা ফাটার সমস্যাটিকে দূর করতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ অ্যালো জেল অনন্য।

ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল আলাদা করে চুলের আগায় ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

পাকা পেঁপে
পাকা পেঁপেতে থাকে উপকারী ফলিক অ্যাসিড। এই ফলিক অ্যাসিড মাথার ত্বকের রক্ত চলাচলে উন্নতি ঘটায়। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন-এ সিবাম তৈরির মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং চুলের ন্যাচারাল তেলের সামঞ্জস্য বজায় রাখে। পেঁপে যেমনভাবে চুলের গোঁড়াকে সুস্থ রাখে, ঠিক একইভাবে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

পাকা পেঁপে ব্যবহারের জন্য দুই টুকরা পেঁপে চটকে এর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ টকদই মেশাতে হবে। তৈরিকৃত মিশ্রণটি চুলের আগায় ম্যাসাজ করে ৩০-৪৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর হারবাল শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

RS

Related News