পাকস্থলী ও লিভার সুস্থ রাখতে যা যা করণীয়। জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

Written by News Desk

Published on:

পাকস্থলী যদি সুস্থ না থাকে তবেই দেখা দেয় নানাবিধ পেটের সমস্যা।
এর মাঝে কোষ্ঠ্যকাঠন্যের সমস্যা, গ্যাস দেখা দেওয়া, বদহজমের সমস্যাগুলোই বেশি দেখা দেয়।

সাধারণত পেটের সমস্যায় আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণের উপর জোর দেওয়া হয়। তবে পেটের সমস্যা যেন দেখা না দেয় তার জন্য প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার সবচেয়ে বেশি উপকারী। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারের মাইক্রোবিয়াম শুধু পাকস্থলী নয়, পুরো স্বাস্থ্যের উপরেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি পাকস্থলিস্থ উপকারী ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদনও বৃদ্ধি করে প্রোবায়োটিক।

দই প্রোবায়োটিক খাবারের মাঝে প্রধান একটি খাদ্য উপাদান। অনেকেই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে দইকে এক নামেই চেনেন। দই ব্যতীত অন্য যে সকল খাবার থেকেও প্রোবায়োটিক পাওয়া যাবে সেটাই জেনে রাখুন।

ঠাণ্ডা আলু
রান্না করে ঠাণ্ডা হওয়া আলু হলো রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চের অন্যতম উৎকৃষ্ট একটি উপাদান। এই রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চটি হলো প্রোবায়োটিক। যা অপরিপাকযোগ্য শর্করাকে পরিপাক করতে কাজ করে, পাকস্থলীর ভালো ও উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বিকাশে কাজ করে।

তবে যাদের ডায়বেটিসের প্রাদুর্ভাব ও সমস্যাটি রয়েছে, ঠাণ্ডা আলু গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকাই সবচেয়ে ভালো হবে। কারণ আলু রক্তে ইন্স্যুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে ওজনও বাড়িয়ে দেয়।

কাঁচা কলা
সবজির মাঝে কাঁচা কলা খেতে পছন্দ করেন না অনেকেই। ফলে উপকারী এই খাদ্য উপাদানটি এড়িয়ে যান। অথচ প্রাকৃতিক এই খাদ্য উপাদানটিতে পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোবায়োটিক। এছাড়াও এতে রয়েছে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ, ভিটামিন ও মিনারেল সমূহ। এই সকল পুষ্টি গুণাগুণ একসাথে পাকস্থলী সুস্থ রাখার পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ও হাড় সুস্থ রাখতে কাজ করে।

কাঁচা কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে অল্প জলে সিদ্ধ করে খেতে হবে। সিদ্ধ না করে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চকলেট
প্রোবায়োটিক খাবারের মাঝে চকলেটকে রাখতে পারেন খুব সহজেই। চকলেটের মিষ্টি পাকস্থলিস্থ ভালো ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফুড মাইক্রোবায়োলজি’তে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য থেকে জানা যায়, চকলেটের সঙ্গে প্রোবায়োটিকের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। গ্রহণকৃত চকলেট পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়াকে সুরক্ষিত রাখে এবং সকল মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শোষণে ভূমিকা রাখে।

রসুন
যদিও ভীষণ উগ্র গন্ধ রয়েছে প্রাকৃতিক এই উপাদানটিতে, রসুনকে বলা হয় পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া বুস্টিং উপাদান। আমাদের দেশে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধিতে রসুন ব্যবহার করা হলেও, পাশ্চাত্যে খাবার ফ্লেভারফুল করার পাশপাশি প্রোবায়োটিক খাবার হিসেবেও গ্রহণ করা হয়। ফুড সাইন্স এন্ড হিউম্যান ওয়েলনেস জানায়, গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল সমস্যার ক্ষেত্রে রসুন দারুণ উপকারিতা বহন করে।

RS

Related News