চশমা ব্যবহার করার ৭টি বিশেষ টিপস, যা অবশ্যই জেনে রাখুন

Written by News Desk

Published on:

চোখের যেকোনো সমস্যাতেই এখন ডাক্তাররা চশমা ব্যবহারের কথা বলেন।তবে চশমা তো ব্যবহার করেন,কিন্তু চশমা ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে যা অনেকেরই অজানা।এর জন্যই দেখা যায় যে,কারো কারো চশমায় ঘনঘন স্ক্র্যাচ পড়ে অথবা ইয়ারপিসগুলো লুজ হয়ে যায় কিংবা চশমা ভেঙে যায়। এর কারণ হলো, চশমাকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা।তাই এই প্রতিবেদনে চশমা ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো-

১. সঠিক নিয়মে চশমা পরিষ্কার করুন

চশমার ক্লিনারে অ্যামোনিয়া বা অ্যালকোহল লাগিয়ে চশমা পরিষ্কার করবেন না, কারণ এসব হার্শ কেমিক্যাল আপনার লেন্সের আবরণকে ড্যামেজ করতে পারে। এর পরিবর্তে ডিশ সোপের দ্রবণ ও আঙুলের সাহায্যে চশমা বা সানগ্লাসকে হালকাভাবে ধুয়ে নিন। চশমার জন্য প্রস্তুতকৃত অতিসূক্ষ্ম তন্তুর কাপড় দিয়ে লেন্স শুকিয়ে নিন এবং এ কাজে কখনো টিস্যু, পেপার টাওয়েল অথবা অন্যান্য উড-বেসড ম্যাটারিয়াল ব্যবহার করবেন না, কারণ এগুলো স্ক্র্যাচ সৃষ্টি করতে পারে।

২. অতিরিক্ত গরম স্থান থেকে চশমা দূরে রাখুন

গ্রীষ্মকালে গাড়ির ভেতর আপনার চশমা বা সানগ্লাস রাখবেন না। এছাড়া অন্যান্য অতিরিক্ত গরম স্থানেও চশমা রাখবেন না। আজকাল বেশিরভাগ চশমা এমন উপাদান দিয়ে তৈরি যা অত্যধিক তাপমাত্রায় গলে যেতে পারে অথবা অধিক নমনীয় হতে পারে।

৩.মাথার ওপর চশমা পরবেন না

মাথার ওপর চশমা রাখা সুবিধাজনক মনে হতে পারে অথবা স্টাইলিশ দেখাতে পারে, কিন্তু এতে ইয়ারপিসগুলো ঢিলা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া আপনার চুল ও মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল চশমাকে অস্পষ্ট করতে পারে অথবা লেন্সকে প্রভাবিত করতে পারে।

৪.চশমার পিছলে পড়া থামান

যদি আপনার চশমা স্লিপ করে নাকের ওপর চলে আসে, তাহলে ওয়েডগিসের মতো ক্লথ ম্যাটারিয়াল ব্যবহার করুন যা চশমার ইয়ারপিসগুলোর শেষাংশে লাগালে পিছলে পড়া থেমে যাবে ও চশমা সঠিক অবস্থানে থাকবে। আরেকটি উপায় হলো, মধুর মোম ও নারকেল তেলের মিশ্রণ সরাসরি চশমার ব্রিজে ব্যবহার করলে চশমা স্লিপ খাবে না। চশমার অবস্থান আরো দৃঢ় করতে অয়্যার টিউবিং ব্যবহারের জন্য কোনো অপটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

৫.চশমার লেন্সকে কোনো পৃষ্ঠের স্পর্শে রাখবেন না

আপনি হয়তো এ পরামর্শটি আগে শুনেছেন, কিন্তু এখনো সচেতন না হয়ে থাকলে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার সময় হয়েছে, কারণ লেন্সকে কোনো পৃষ্ঠের সংস্পর্শে রাখলে মারাত্মক স্ক্র্যাচ সৃষ্টি হতে পারে। যদি আপনার চশমার জন্য হার্ড কেস না থাকে, তাহলে আজই একটা কিনে নেওয়ার কথা বিবেচনা করুন।

৬.সঠিক চোখের সাজ

অনেকে ভাবেন চশমা পড়লে চোখের সাজ দেখা যাবে না। কিন্তু চশমার সাথে চোখের সাজ অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে বড় চোখের পাপড়ি চোখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অনেক বেশি। তাই চশমা পরতে হলে ফলস আইল্যাশ লাগান চোখে। অথবা ভালো ব্র্যান্ডের ভারী মাশকারা ব্যবহার করুন।

৭.চোখের চারপাশের মেকআপ

চোখে চশমা থাকলে আপনাআপনি তা পুরো মুখের আকর্ষণ টেনে নেয়। তাই চোখের আশেপাশে স্থানগুলোতে বেশি নজর দেবেন। ফোলা চোখ, ডার্ক সার্কেল কিংবা চোখের চারপাশের লালচে দাগ ঢাকতে ব্যবহার করুন কনসিলার।

Related News