পরিপাকজনিত সমস্যা এড়াতে দূরে রাখুন এই ৬টি খাবার!

Written by News Desk

Published on:

সুস্বাস্থ্যে জন্য ব্যালেন্স ডায়েট যতটা প্রয়োজন, একইভাবে সুস্থ পাকস্থলীর জন্যেও প্রয়োজন সঠিক খাবার গ্রহণ।
আমাদের নিত্যদিনের খাবারের মাঝে লুকিয়ে থাকা খাবার থেকেই দেখা দেয় পরিপাকজনিত নানানবিধ সমস্যা। পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে ও পরিপাকজনিত সমস্যাকে দূরে রাখতে জেনে রাখুন কোন ছয় ধরনের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

দুগ্ধজাত খাবার
প্রায় সকল দুগ্ধজাত খাবারেই থাকে কেসিন (Casein) এক প্রকার প্রোটিন, যা মূলত ছানাজাতীয় উপাদান। এই প্রোটিনটি অতি উচ্চমাত্রার অ্যালার্জিক ও প্রদাহ তৈরিকারী। প্রাণীজ দুধের এই উপাদানটির জন্যেই ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে যায় শরীরে। এছাড়া দুধে থাকা ল্যাকটোজ ও কার্বহাইড্রেট সহজে হজমযোগ্য নয়। বিশেষত যারা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট, তাদের জন্য দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য হজমজনিত সমস্যা তৈরি করে।

গ্লুটেন
ময়দা, আটা, সুজি, বার্লিতে উপস্থিত প্রোটিন কণাকে বলা হচ্ছে গ্লুটেন। মূলত এই গ্লুটেন পরিপাক হতে সময় নেয়, কারণ পাকস্থলীতে গ্লুটেন ভাঙতে অনেক লম্বা সময় নেয়। এতে করে পাকস্থলীর কার্যকারিতা বেশ অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে পাউরুটি, রুটি, কেক বা সুজির হালুয়া খাওয়ার পর অনেকের পেট ফাঁপাভাব দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে গ্লুটেনমুক্ত খাবার গ্রহণের দিকে জোর দিতে হবে।

চিনি
যাদের পরিপাকজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকা প্রয়োজন। চিপস, ক্যান্ডি, কেক, ডোনাটস প্রভৃতি খাবারে উচ্চমাত্রার চিনি থাকায় এ খাবারগুলো পাকস্থলীতে প্রদাহ তৈরি করে। কারণ চিনি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে উজ্জীবিত করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলে। ফলে পেটের সমস্যাগুলো চিনি ও মিষ্টিজাত খাবারে অনেকখানি বেড়ে যায়।

খাবারের রঙ
এখনকার সময়ে বেশিরভাগ ফাস্ট ফুডকে লোভনীয় করার জন্য এতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের রঙ ব্যবহার করা হয়। যদিও বলা হয়ে থাকে এই সকল রঙ স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ ও অর্গানিক, কিন্তু এই রঙগুলো পাকস্থলীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। কারণ রঙ তৈরির প্রক্রিয়ায় এতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল উপাদান। মূলত এই রঙগুলো শরীরে শক্তি তৈরিকে স্লথ করে দেয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রদাহ তৈরি করে।

সুইটনার
চিনি যেহেতু পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর তাহলে নিশ্চয় চিনির বদলে অন্যান্য সুইটনার ব্যবহার করা যাবে খাবারে- এমন ভাবনা যদি থাকে তবে সেখানেও রয়েছে দুঃসংবাদ। কৃত্তিম সুইটনারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি হওয়ায় পরিপাক হতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। যা থেকে ব্লটিং (পেট ফাঁপা ভাব) ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। সুইটনারের পরিবর্তে মধু বা খেজুরের পেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডাল ও শস্য
এমন অনেকেই আছেন ডাল বা শস্য জাতীয় খাবার একেবারেই খেতে পারেন না। এমন খাবারে পেটের ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ ডাল ও শস্যতে থাকে স্যাপোনিনস ও লেকটিনস নামক উপাদান। যা প্রদাহ তৈরি করে পরিপাকজনিত সমস্যা তৈরি করে।

RS

Related News