একাধিক জটিল রোগের সমাধান এখন ‘পেঁয়াজের খোসা’, জেনেনিন এর ব্যবহার পদ্ধতি

Written by News Desk

Published on:

খাবারের স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজের গুণাগুণ সম্পর্কে সবাই জানেন নিশ্চয়! কিন্তু পেঁয়াজের খোসার গুণের কথা জানেন কি? স্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের খোসা সবাই ফেলেই দেয়। কিন্তু আজকের লেখাটি পড়ার পর এই কাজটি ভুলেও আর কেউ করবেন না।

পেঁয়াজের খোসা দিয়েও রোগের চিকিৎসা সম্ভব! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? পেঁয়াজের খোসা শরীরের একাধিক জটিল রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক পেঁয়াজের খোসার নানা গুণাগুণ সম্পর্কে-

ক্যান্সার বিরোধী
ক্যান্সার রোগের প্রসার আটকাতে পেঁয়াজের খোসার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের এনজাইম যা শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি আটকায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্বাভাবিক কোষেদের বৃদ্ধি যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে ক্যান্সার রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনো সুযোগই পায় না। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে পেঁয়াজের খোসা দিয়ে বানানো চা খেতে হবে। তবেই মিলবে উপকার!

শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
পেঁয়াজের খোসার সঙ্গে অল্প করে মধু বা চিনি মিশিয়ে জুস বানিয়ে খান। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করার পাশাপাশি যদি এই জুসটি খেতে পারেন, তাহলে শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারে কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পেঁয়াজের খোসায় প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত থাকে, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এই উপাদানটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিয়মিত পেঁয়াজের খোসা খেতে পারেন, তাহলেই দেখবেন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আর প্রয়োজন পরবে না।

অন্ত্রের নানাবিধ সমস্যা দূর হয়
পেঁয়াজের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-বেকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ, যা পেটের যে কোনো ধরনের সংক্রমণ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে পেঁয়াজের খোসা ভেজানো জল প্রতিদিন খেতে হবে। তাহলেই দেখবেন রোগের প্রকোপ একেবারে কমে যাবে। ইচ্চা হলে অন্ত্রের ইনফেকশন কমাতে আপনি ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এই ঘরোয়া চিকিৎসাটির সাহায্যও নিতে পারেন।

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ঠাসা
এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো পেঁয়াজের খোসা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে জলটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন চুলকানি এবং অ্যালার্জিসহ ত্বকের নানাবিধ প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ একেবারে সেরে যাবে। কারণ পেঁয়াজের খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা অল্প সময়েই শরীরের যে কোনো জ্বালা বা প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
স্নানের পরে পেঁয়াজের খোসা ভেজানা জল দিয়ে ভালো করে চুলটা কয়েকবার ধুয়ে নিন। তাহলেই দেখবেন চুলের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে স্কাল্পে ঘর বেঁধে থাকা নানাবিধ রোগের প্রকোপও হ্রাস পাবে। আসলে পেঁয়াজের খোসায় এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা চুলের ভিতরে প্রবেশ করে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ফাইবারের যোগান বাড়ায়
পেঁয়াজের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমাতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও নানাভাবে সাহায্য করে।

পোকা মাকড়দের দূরে রাখে
এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো পেঁয়াজের খোসা ভিজিয়ে সেই জলটা জানলা অথবা দরজার বাইরে রেখে দিন। এমনটা করলে দেখবেন সমস্যা কমে যাবে। কারণ পেঁয়াজের গন্ধে পোকা-মাকড়েরা আর বাড়ির ভিতরে ঢোকে না।bs

Related News