সমীক্ষা: এখন আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেবে যোগাসন, জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা

Written by News Desk

Published on:

খাদ্যতালিকায় চর্বির আধিক্য, দৈনন্দিন কু-অভ্যাস, ভ্রমণ বা শারীরিক কার্যকলাপের অভাব ইত্যাদি কারণে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগেন। এমনকি রক্তে শর্করার বৃদ্ধিও স্নায়ুর ক্ষতি করে যা কোষ্ঠকাঠিন্যকে ত্বরান্বিত করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এই সমস্যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। শুধু নাই নয়, এর প্রতিকার না হলে রেচনতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিও হওয়া সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা অন্ত্রের অনেক রোগের কারণ হতে পারে। এটি কষ্টকর এবং খুবই অস্বস্তিকর বটে। এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকের পরামর্শে বিভিন্ন ওষুধ পথ্য খেয়েছেন। তারপরও মুক্তি মিলছে না এর থেকে। তাহলে আপনি এবার ভরসা রাখুন যোগব্যায়ামে।

যোগব্যায়াম আপনার শরীরকে নমনীয় করে। এছাড়াও যোগব্যায়ামের রয়েছে আশ্চর্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। যোগব্যায়াম আপনার মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যোগব্যায়ামের পদ্ধতিগুলো-

>> চিৎ হয়ে শুয়ে আপনার হাঁটু বেঁকিয়ে উরুদুটিকে আপনার পেটের কাছে আনুন। হাঁটু এবং গোড়ালি একসঙ্গে রাখুন। আপনার হাত দুটি পায়ের চার পাশে আনুন এবং হাত দিয়ে পা দুটিকে বুকের কাছে আঁকড়ে ধরুন। ঘাড় অল্প তুলুন এবং আপনার চিবুকটি বুকের উপর রাখুন। পাঁচ সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থানটি ধরে রাখুন এবং তারপরে পুনরাবৃত্তি করুন।

>> আপনার পা অল্প ফাঁক করে দাঁড়ান। হাঁটু বেঁকিয়ে নিন এবং আপনার নিতম্ব নিচু করে উবু হয়ে বসার ভঙ্গি করুন। হাতের তালুগুলোকে একত্রিত করতে আপনার কনুই বেঁকিয়ে নিন এবং হাত দুটি আপনার হাঁটুর ভেতর দিকে নিয়ে যান। মেরুদণ্ড এবং ঘাড় সোজা রেখে কাঁধ শিথিল করুন। ৭ সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থানে থেকে শরীর শিথিল করে এক মিনিট আরাম করে এই আসনটি অন্তত চার থেকে পাঁচ বার পুনরাবৃত্তি করুন।

>> আপনার পায়ের গোড়ালি উঁচু করে সমতল জায়গা বা মাদুরের উপর হাঁটু গেড়ে বসুন। পায়ের আঙ্গুলগুলো একসঙ্গে করে নিন এবং হাঁটু দুটি একে অপরের থেকে কিছুটা দূরে রাখতে হবে। আপনি উভয় হাত আপনার পাশে রাখতে পারেন। শ্বাস ছাড়ুন এবং আপনার ঊর্ধ্বাঙ্গকে সামনের দিকে নামিয়ে আনুন। উরুর সঙ্গে পেট স্পর্শ করিয়ে প্রশ্বাস টেনে রাখুন কয়েক সেকেন্ড। হাত সামনের দিকে রাখুন এবং মাটিতে স্পর্শ করিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে শরীর শিথিল করে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে হবে এবার।bs

Related News