ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী? কেন হয় এবং এর উপসর্গ

Written by News Desk

Published on:

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে অনেকেই। চিকিৎসকরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সম্পর্কে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলো সঠিক নয়। কেবল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস
করোনায় আক্রান্ত অনেক রোগীর শরীরে ঘটছে এক প্রকার ছত্রাকের সংক্রমণ। যার নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। চিকিৎসার পরিভাষায় এই রোগকে চিহ্নিত করা হচ্ছে মিউকোরমাইকোসিস নামে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেল বাসা বাধছে এই ছত্রাক। করোনা রোগীরা বেশি দিন আইসিইউ-তে থাকলে, কিংবা তাঁদের উপরে স্টেরয়েডের ব্যবহার বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সংক্রমণ ঘটছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস যেসব রোগীদের মধ্যে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে
এই ছত্রাক শুধু করোনা রোগীদের মধ্যেই ছড়াচ্ছে না। যেকোনো মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে করোনা রোগীরা। কারণ করোনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে এমন রোগীদের শরীরে বেশি দেখা দিচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।

এছাড়াও ডায়াবেটিকস ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দেখা দিচ্ছে। মূলত যে সব রোগ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, সেসব রোগীরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।

সংক্রমণের উপসর্গ কী?
নাকের উপরে কালো ছোপ, চোখে কম দেখা, নাক বন্ধ, সর্দি সবই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ। এছাড়াও নাকের ভিতরের অংশ কালচে রঙের হয়ে যাওয়া, মুখ ও গালে ব্যথা এবং কারো কারো শরীরের বিভিন্ন অংশ অবশ হয়ে যায়। সংক্রমণ বেশি ছড়ালে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের মৃত্যুহার
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, এই বিরল ছত্রাকে আক্রান্তদের মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ। তবে, ৯২৯টি ঘটনা নিয়ে করা ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুহার ৫৪ শতাংশ।

RS

Related News