প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে কেন উঠবেন? জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে ঘুমের সময়ও। রাতে দেরিতে ঘুমানোর কারণে সকালে উঠতেও দেরি হচ্ছে। তবে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা কষ্টকর হলেও উপকারিতা অনেক। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্যে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ক্ষেত্রবিশেষে আবশ্যিক।

যেসব কারণে সকালে ঘুম থেকে ওঠা প্রয়োজন—

সঠিক সময়ে ক্ষুধাভাব দেখা দেয়

সারারাত ঘুমিয়ে সকালে ওঠার পর স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাওয়া ভীষণ প্রয়োজন। কারণ ৬-৮ ঘণ্টা অভুক্ত থাকার পর শরীরে পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময় ঘুমিয়ে অনেক দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর আর খাদ্য গ্রহণ করতে চায় না। ফলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।

তবে বিপরীত সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের ক্ষেত্রে। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখা দেয় তীব্র ক্ষুধাভাব। যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়। ক্ষুধামন্দা অথবা অতিরিক্ত ক্ষুধাভাব, উভয় সমস্যায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠে, পুষ্টিকর খাদ্য সঠিক পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

মানসিক বিষণ্নতা কমায়

যারা সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাদের মাঝে মানসিক বিষণ্নতা তুলনামূলক অনেক কম থাকে। ঘুম ও জাগরণের রুটিনে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলে মন ও শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

গবেষণা থেকে জানা যায়, দেরিতে ঘুমানোর সাথে বিষণ্নতার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কারণ ঘুমের সময়ে ব্যঘাত ঘটলে হরমোন নিঃসরণে সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে মানসিক বিষণ্নতা ও অবসাদ দেখা দেয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

যারা সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করেন, তাদের সারা দিনের খাওয়ার নিয়ম একটি সুনির্দিষ্ট রুটিনের আওতায় চলে আসে। প্রতিবেলায় সময়মতো খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা। ফলে ওজনকে নিয়ন্ত্রনে রাখা সহজ হয় যায় যে কারোর জন্যেই।

শরীরচর্চার জন্য সময় পাওয়া যায়

সবচেয়ে দারুন ব্যাপার হলো, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার পর হাতে বেশ অনেকটা সময় পাওয়া যায়। দিনের শুরুতেই ঘণ্টাখানেক সময়ের জন্য শরীরচর্চা করার অভ্যাসটি সারা দিনের কাজের এনার্জি এনে দেয়, সাথে ফিট রাখে শরীরকেও।

RS

Related News