এখনকার জীবনযাত্রা অনেক বেশি ব্যস্তময়। এ কারণে দিন শেষে ক্লান্তি লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। সারাদিনের অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর মানুষ রাতের বেলায় ক্লান্ত হতেই পারেন। এক্ষেত্রে বিশ্রাম নিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
কিন্ত এমন অনেকেই আছেন যারা কাজ করা ছাড়াই সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করেন। তারা কোনো কাজেও মনোযোগ দিতে পারেন না। যারা এমন সমস্যায় ভূগছেন তাদের অবশ্যই সাবধান হতে হবে। এই পরিস্থিতিতে এমন কোনও কাজ করা যাবে না যাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বুঝে নিতে হবে সমস্যা কেন হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিন ক্লান্তি থাকলে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই হতে হবে সাবধান। কারণ এর পিছনে অনেক জটিল কোনও রোগ থাকলেও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগ এর পিছনে থাকতে পারে। তবে বহু ক্ষেত্রেই এই সমস্যার পিছনে তেমন কোনও জটিল কারণ থাকে না। বরং সামান্য কিছু কারণেই এই সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
ঘুমানো : ভালোমতো ঘুমাতে হবে। কারণ ঘুম হল শরীরকে রিচার্জ করার অন্যতম ব্যাটারি। তাই ঘুম কম হলে শরীর ক্লান্ত হতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই দিনে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এর থেকে কম সময় ঘুমালে শরীর নিজেকে রিচার্জ করার সময় পায় না। এই কারণে দেখা দিতে থাকে সমস্যা। বিভিন্ন গবেষণাতেও এই বিষয়টা প্রমাণিত হয়েছে।
নিজেকে সময় দেওয়া: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন অন্তর্মুখী স্বভাবের। তারা অন্যদের সঙ্গে নিজের সমস্যা ভাগ করে নিতে পারেন না। তাই তাদের নিজের জন্য সময় দরকার। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষরা যদি নিজের জন্য সময় না পান তবে তাদের শরীরের উপরও প্রভাব পড়ে। তারা সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করেন। তাই সারাদিনের মধ্যে অন্তত একটু সময় আপনাকে নিজের জন্য বের করতেই হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক মানুষেরই সারাদিনে অন্তত কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন।
দুশ্চিন্তা দূর করুন : চিন্তা আমাদের থাকবেই। কিন্তু সেই চিন্তা যদি জীবনকে সমস্যায় ফেলে তবে অবশ্যই নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে চিন্তা বেশি করলে শরীরে দেখা দিতে পারে সমস্যা। এমনকী মনের উপর পড়তে পারে প্রভাব। সারাদিন গ্রাস করতে পারে ক্লান্তি। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে মেডিটেশন করতে পারেন।
নিজের মন মতো কাজ করুন : ক্লান্তি অনেকটাই হয় মানসিক। মন চাঙ্গা থাকে না বলেই দেখা দেয় এই সমস্যা। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই নিজের মন ভালো রাখার রাস্তা খুঁজে নিতে হবে। এবার মন ভালো রাখার ক্ষেত্রে যেকোন শখ বেছে নিতে পারেন। আঁকা থেকে শুরু করে বইপড়া, গান শোনা, কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজানো যা ভালো রাখে তাই করুন।
ঘুরতে যান : কাজ তো থাকবেই। তবে মনের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতে হবে। সময় করে একটু বেরিয়ে পড়ুন। পাহাড়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়লে বা সমুদ্র সৈকতে গা ভাসালে মনের ভিতর এক অদ্ভুত আনন্দ হয়। সেই আনন্দের কোনও বিকল্প নেই। এরপর ফিরে এসে নিজেকে অন্যভাবে ফিরে পাবেন।