চোখে-মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়ুক, তা কেউই চায় না। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া খুবই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় দূষণ, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার ফলে সময়ের আগেই মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে। আর এর থেকে মুক্তি পেতে আমরা মার্কেটের রাসায়নিক-যুক্ত বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে থাকি। যার বেশিরভাগই সাময়িকভাবে সৌন্দর্য প্রদান করলেও, দীর্ঘদিন ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বককে তারুণ্যময় করে তুলতে, কয়েকটি ভেষজই যথেষ্ট!
তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক, ত্বকের রিঙ্কেলস ও বলিরেখা দূর করতে কোন কোন ভেষজ ব্যবহার করবেন।
১) তুলসি: তুলসি পাতা ত্বকের জন্য দুর্দান্ত উপকারি। এটি ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া, এটি ত্বকের উপর অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব এবং কোলাজেন ক্ষয় প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।
প্রথমে তুলসি পাতা গরম জলে ভিজিয়ে, নরম করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর ওই পেস্টের সাথে বেসন ও মধু মিশিয়ে, সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) দারুচিনি: দারুচিনিতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা ত্বকের কোলাজেন ভঙ্গ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাসও রোধ করে। দারুচিনি গুঁড়ো এবং মধু নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপরে ওই পেস্টটি সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৩) আদা: ত্বকের তারুণ্যতা ধরে রাখতে আদা দুর্দান্ত কার্যকর। এতে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এটি ব্যবহার করতে, প্রথমে একটু আদা টুকরো থেঁতো করে নিন এবং তাতে সামান্য ব্রাউন সুগার ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর ওই মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৪) জিংকো: জিংকো এর নির্যাস ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করার পাশাপাশি, ত্বকের গঠন উন্নত করতেও সহায়তা করে। জিংকো ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন, আর দেখুন জাদু! এই প্যাকটি তৈরি করতে দরকার জিংকো নির্যাস, মধু এবং বেন্টোনাইট ক্লে। এই তিনটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন এবং সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) অশ্বগন্ধা: অশ্বগন্ধা একটি চমৎকার ভেষজ, যা ত্বকের তারুণ্যতা ধরে রাখতে দুর্দান্ত কার্যকর। অশ্বগন্ধা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যালকালয়েডের বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা ত্বকের অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করার পাশাপাশি, ত্বকের কোষগুলিকে চাপ এবং ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে। অশ্বগন্ধার গুঁড়া, আদা গুঁড়া এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। তারপর ওই প্যাকটি সারা মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৬) জিনসেং: এই ভেষজটি প্রধানত চীনা ঔষধিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ভেষজটি ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে দুর্দান্ত কার্যকর। প্রথমে এক চা চামচ জিনসেং পাউডার নিয়ে এক কাপ ঈষদুষ্ণ জল মিশিয়ে নিন। তারপর তুলোর সাহায্যে, ওই মিশ্রণটি সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এটি সারারাতও লাগিয়ে রাখা যেতে পারে।
৭) হলুদ: হলুদ ত্বক, স্বাস্থ্য, সবকিছুর জন্যই দারুণ উপকারি। এর মধ্যে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এতে থাকা কারকিউমিন যৌগটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আপনার ত্বককে বার্ধক্যজনিত লক্ষণ থেকে রক্ষা করে। হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ মধু, এক ফোঁটা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে ধুয়ে ফেলুন।
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভালোবাসার মাধ্যমে। এর থেকেই দুজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ একে অপরের সঙ্গে আজীবন কাটানোর প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন।…
শরীরের ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক ত্বকের সৌন্দর্য অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এই দাগ একবার পড়লে তা আর সহজে দূর হয়…
ত্বকে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন কারণে এসব চর্মরোগ হয়ে থাকে। তবে অনেকেই প্রথমদিকে এসব রোগকে উপেক্ষা করেন।…
‘ডিটক্স ড্রিংকস’ এর উপকারিতা অনেক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এ পানীয়। সঙ্গে শরীরের সব ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে ক্লিঞ্জার…
চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপাদান। বরং গুড় শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন…
ডিম একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত হয়। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান আছে ডিমে। তবে ডিম নিয়ে অনেকের মনেই নানা…