বিয়ে করার সঠিক বয়স কত? চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন গবেষকরা

Written by News Desk

Published on:

মানুষের জীবনের তিনটি ভাইটাল পার্ট আছে।জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে। এই তিনটির মাঝে শুধু বিয়ের সামান্য একটু সিদ্ধান্ত মানুষের উপর নির্ভর করে। এবং সেই সামান্য সিদ্ধান্তেও সিংহভাগ মানুষ ভুল করে বসে থাকে।

বর্তমানের অনেক যুবক মনে করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করার কথা। তারা ভাবে, আগে একটা চাকরি আর কিছু টাকা পয়সা জমিয়ে নেই, তারপর বিয়ে করবো। একটা চাকরি পেতে পেতে সে বয়স ২৮/২৯ বানিয়ে ফেলে। আর চাকরি পেয়েই ভাবে, সবে তো চাকরি পেলাম – কিছুদিন একটু রিলাক্সে থাকি আর এর চেয়ে বড় কোনো চাকরি পাই কি-না দেখি। এই করতে করতেই সে বয়স ৩২/৩৩ বানিয়ে বসে থাকে। তারপর শুরু হয় সুন্দর-ভদ্র-মার্জিত ২১/২২ বছর বয়সের একটা মেয়ে খোঁজার অভিযান। কারণ, যারা চাকরির পরেও বিয়ে করতে অনাগ্রহী তাদের রিলেশান টেকার কথা না।

যখন সে ৩৩ বছর বয়সে বিয়ে করে তখন সে প্রথম সন্তানের বাবা হয় ৩৫ বছর বয়সে। চিন্তা করেন, যখন তার সন্তান পড়বে ক্লাস নাইনে তখন তার বয়স হবে ৫০ বছর। তখন কি আর সন্তান মানুষ করে তোলার এনার্জি থাকবে।

এদিকে আবার আরেক জ্বালা। ছেলে বেশি বয়সে বিয়ে করলে বউয়ের সাথে বয়সের অনেক পার্থক্য থাকে। সেক্ষেত্রে দুজনের মাঝে রোমান্টিকতার বিশাল পার্থক্য থাকে। ছেলে যখন একটা জমি কেনার জন্যে না খেয়ে টাকা জমাতে চাইবে বউ তখন ভাববে, আমাকে কেন সে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নিয়ে যায় না। অতএব, পরকিয়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যার ফলে ডিভোর্সের অপশনটা সামনে চলে আসে। কারণ, মেয়ের বয়স ২৪ আর ছেলের ৩৭।

এদিকে আবার কিছু তরুণী আছে অত্যন্ত সচেতন। যারা নিজের পায়ে না দাড়িয়ে বিয়ে করতে রাজি না। যাদের পড়ালেখা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বয়স ২৭/২৮ হয়ে যায়। এরপর পরিচিত মানুষটিকে বা অপরিচিত মানুষটিকে বিয়ে করে গুছিয়ে বাচ্চা নিতে নিতেই বয়স ৩০/৩১। আর মেয়েদের ৩০ বছরের পর সন্তান ধারনের ক্ষমতাও কমে যায় এবং সেটা রিস্কও বটে। কাজেই প্রত্যেকেই কাকবন্ধ্যার মতো ২/১ টি সন্তানেই জীবন শেষ। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষের পরিচিত এমন একটা পরিবার আছে যাদের সন্তান হচ্ছেনা। কোনো মেয়ের ৩০ বছর বয়সে বাচ্চা হলে বাচ্চাটি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়বে তখন মায়ের বয়স হবে ৪০ বছর । ঐ মা কি স্বামী-সন্তান-সংসার ঠেকাতে পারবে? আগ্রহ থাকবে?? কাজ হয়তো সে সবই করবে কিন্তু প্রাণশক্তি কি থাকবে? ৫০ বছর বয়সী মহিলার যেখানে নিজেরই সাপোর্ট লাগে, সেখানে তার ১৮ বছর বয়সী মেয়ে কোথায় কি করছে – সেটা দেখার ইচ্ছাও কি তার থাকবে?

বিয়ের আগে কখনোই জীবন গোছানো যায় না। কারণ, জীবন গোছানোর প্রথম পদক্ষেপই হলো বিয়ে করা।

বিয়ের পর আল্লাহর রহমত আসে, চিন্তাধারায় স্থিরতা আসে, জ্ঞানের পরিপক্বতা আসা শুরু হয়। তাই বাংলাদেশের ছেলেদের উচিৎ ২৫/২৬ বছর বয়সেই বিয়ে করা আর মেয়েদের উচিৎ সর্বোচ্চ ২০/২৩ এর মাঝে বিয়ে করা । সরাসরি বাবা-মা কে গিয়ে বলবেন, আমি বিয়ে করতে চাই। অন্যান্য যে কোন বাজে কাজের তুলনায় এটাই কম নির্লজ্জ।

TS

Related News