নানা রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে লাল লঙ্কাই বাড়াবে আপনার আয়ু, বলছে সমীক্ষা

Written by News Desk

Published on:

গবেষকরা জানাচ্ছেন, লঙ্কার ক্যাপসাইসিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান খাবারে স্পাইসি ফ্লেভার অ্যাড করে। আর এই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানই শরীরে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে। লঙ্কা খান না? বিশেষ করে লাল লঙ্কা খুব ঝাল মনে করে এড়িয়ে যান? তা হলে বোধহয় কিছু একটা ভুল করছেন। মাথায় রাখবেন, লাল লঙ্কা খাওয়া মানে অকালমৃত্যুর হাত থেকে নিজেকে বাঁচানো! এতে ক্যানসার-সহ একাধিক কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের সম্ভাবনা কমে যায়। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা বলছে, যাঁরা লাল লঙ্কা খান, তাঁদের শরীরে এই ধরনের রোগের সম্ভাবনা কমে যায়।গবেষকরা জানাচ্ছেন, লঙ্কার ক্যাপসাইসিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান খাবারে স্পাইসি ফ্লেভার অ্যাড করে। আর এই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানই শরীরে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, লঙ্কার ক্যাপসাইসিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান খাবারে স্পাইসি ফ্লেভার অ্যাড করে। আর এই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানই শরীরে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে। এটি শরীরের মধ্যে থাকা কোনও টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে। এর পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রায় ৫,৭০,০০০ জন মানুষের স্বাস্থ্য ও ডায়েটসংক্রান্ত একাধিক দিক খতিয়ে দেখা হয়। চলে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। আর সেই গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে যে, যথাযথ পরিমাণ লাল লঙ্কার একটা গুরুত্ব রয়েছে শরীরে। এই সবের পাশাপাশি গবেষকরা একটি বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই বিশাল গবেষণায় সমস্ত খুঁটিনাটি নিখুঁত হওয়া অসম্ভব। ব্যক্তিবিশেষে সমীক্ষা করা হলেও, প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি আলাদা।

তাই ঠিক কী কী ধরনের লঙ্কাতে এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, তা জানার জন্য পৃথক ভাবে সবিস্তারে একটি গবেষণার অবকাশ রয়েছে। এর পাশাপাশি এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে, একজন সুস্থ মানুষের দিনে ঠিক কতটা পরিমাণ লাল লঙ্কা খাওয়া দরকার। সম্প্রতি Daily Mail-এর একটি প্রতিবেদনও বিষয়টি সম্পর্কে জল্পনা আরও কয়েক ধাপ বাড়িয়েছে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত এই ধরনের সবজি খুব একটা খান না ব্রিটিশরা, তবে এই লকডাউনে তাঁদের লঙ্কা খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বেশিরভাগ মানুষজনই এই সময়টায় বাড়িতে রান্না করছেন। খাবার নিয়ে নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করছেন। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লকডাউন পিরিয়ড নিজেদের ডায়েট বা খাদ্যতালিকাকে আরও সমৃদ্ধ করা, লঙ্কা বা অন্যান্য কার্যকরী ও পুষ্টিকর সবজি খাওয়ার উপযুক্ত সময়।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, কাঁচা লঙ্কা, শুকনো লঙ্কা এমনক গোলমরিচ খাবারে ফ্লেভার বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরে নুনের চাহিদাও কমায়। প্রচুর পরিমাণে নুন খেলে ব্লাড প্রেসার বা হৃদরোগের সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে লাল লঙ্কা বা অন্য যে কোনও লঙ্কা কিন্তু নুনের চাহিদা কমিয়ে রোগের সম্ভাবনা কমায়। তবে চিলি স্যস বা এই জাতীয় প্যাকেটজাত মশলা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এগুলিতে উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম থাকে। যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ওহিয়োর ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের বো জু। তিনিও একই কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, নিয়মিত পরিমিত মাত্রায় লাল লঙ্কা খেলে হৃদরোগ, ক্যানসারসহ একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। মাথায় রাখতে হবে, এই সমীক্ষার মাধ্যমে শুধুমাত্র লঙ্কার ভালো গুণকে তুলে ধরা হয়েছে। তবে তার মানে এটা নয় যে, বেশি পরিমাণে লঙ্কা খেলে মৃত্যুর হার কমে যাবে বা বা দীর্ঘ দিন বাঁচা যাবে।

তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজন মতো লঙ্কা খাওয়া যেতে পারে। তাতে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলির চাহিদা পূরণ হবে ও শরীর ভাল থাকবে।

TS

Related News